ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এবিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের পরিষদীয় দলনেতা পূর্ণেন্দু দে বলেন, ওই গেস্ট হাউসটি নিয়ে নতুন কিছু করার কথা আমরা ভাবছি। শীঘ্রই এনিয়ে জেলা পরিষদের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ স্টেশনের ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের গেস্ট হাউস। নতুন গেস্ট হাউসের পেছনে রয়েছে পরিত্যক্ত পুরনো গেস্ট হাউস। দীর্ঘদিন ধরে সেটি ওভাবে পড়ে রয়েছে। দিনের পর দিন এই গেস্ট হাউসের সামনের গেটে তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখা থাকলেও এর পেছনের দরজা জানালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভেতরে থাকা নানান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছে। গেটের বাইরে থেকে গেস্ট হাউসের ভেতরের চিত্রটি পরিষ্কার দেখা যায়। বাইরে থেকে দেখা যায় ভেতরের দরজা ভাঙার ছবি। স্থানীয়রা বলেন, ভেতরে একসময় প্রচুর সামগ্রী ছিল। সেগুলি বর্তমানে আর যথাস্থানেই নেই। খাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাবপত্র একসময় ওখানে ছিল। সেগুলি এখন আর দেখা যায় না।
পরিত্যক্ত ও জেলা পরিষদ গেস্ট হাউসের পেছন দিকে দেওয়াল খুব বেশি উঁচু না হওয়ায় রাতে হাতসাফাই করতে কোনওরকম বাধায় পড়তে হচ্ছে না দুষ্কৃতীদের। প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে অসামাজিক কাজকর্মও চলছে। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। গেস্ট হাউসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। এনিয়েও এলাকাবাসীর আতঙ্ক রয়েছে। তাঁরা বলেন, মাঝেমধ্যেই ভিতরে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ওখানে ঘটে যেতে পারে। পরিত্যক্ত গেস্ট হাউসটি পেরিয়ে গিয়ে একটু এগলেই জেলা পরিষদের স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। পরিত্যক্ত গেস্ট হাউসের উল্টোদিকে রয়েছে সরকারি গার্লস হস্টেল। আশপাশে বসতিও রয়েছে।
দিনের পর দিন পরিত্যক্ত ভবনে থেকে নানান সামগ্রী চুরি হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের দাবি দ্রুত ওই গেস্ট হাউসটি নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হোক। সরকারি সম্পত্তির যেটুকু অবশিষ্ট আছে সেগুলি রক্ষা করা হোক। ওই ভবনের সংস্কার করে নতুনভাবে সেটি ব্যবহার করা হোক। না হলে যে কোনওদিন পুরো ভবনটাই দখল হয়ে যেতে পারে।