বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় একটি প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক অমল দত্ত বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে মোটর বাইক, ছোট গাড়ি যাতায়াত করার ফলে দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলিতে বক্সার জঙ্গলের ভেতর দিয়ে জয়ন্তী এবং বক্সা ফোর্টের দিকে অনেকেই যান। গাড়ির গতিবেগ সংক্রান্ত বোর্ড লাগানো থাকলেও তা অধিকাংশ চালকই মানে না। এটা বন্ধ করতে পুলিসের নজরদারি দরকার।
পূর্তদপ্তরের অলিপুরদুয়ারের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (মেন) হেমন্তকুমার বিট বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ওই রাস্তায় প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিমি গাড়ির গতি রাখা যেতে পারে। এই সংক্রান্ত বোর্ড সেখানে লাগানো আছে। এর বেশি গতিতে গাড়ি ছোটালে রাস্তায় বন্যপ্রাণী চলে এলে সেক্ষেত্রে ওই জন্তুটি যেমন দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে তেমনি গাড়িও দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে।
ওই রাস্তাটি কালচিনি থানার অধীনে রয়েছে। কালচিনি থানার ওসি অভিষেক ভট্টাচার্য বলেন, ওই রাস্তার নিয়মিত আমাদের টহলদারি ভ্যান যায়। ফলে আগের থেকে ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা অনেকটাই কমিয়ে আনা গিয়েছে।
রাজাভাতখাওয়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া দমনপুর নর্থ পয়েন্ট থেকে রাজাভাতখাওয়া ফরেস্ট চেক পোস্ট পর্যন্ত আট কিমি রাস্তার উপর দিয়ে মোটর বাইক এবং ছোটগাড়িগুলি অস্বাভাবিক গতিতে ছোটে। এমনকি রাজাভাতখাওয়া গেট পার হয়ে বক্সা এবং জয়ন্তীর দিকে যাওয়া রাস্তা দিয়ে ছোটা কোনও কোনও গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১২০ কিমিরও বেশি হয়। মোটর বাইকও ৮০-৯০ কিমি বেগে ছোটে। রাস্তার দু’পাশে ঘনজঙ্গল রয়েছে। প্রায়ই হাতিরপাল ওই রাস্তার উপর দিয়ে পারাপার হয়। কখনও আবার রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে। তখনই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।