কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বাসিন্দারা বলেন, হাটে রাতের বেলায় পুলিসের নিয়মিত টহলদারি নেই। হাটের মধ্যে পুলিসের একটি স্থায়ী ক্যাম্প থাকলেও সেখানে এক দু’জনের বেশি পুলিস কর্মী থাকেন না। আবার কোনও দিন ক্যাম্পে পুলিসই থাকে না। পুলিসের উদাসীনতার কারণেই পলাশবাড়িতে খুন, মদ ও গাঁজার রমরমা কারবার সহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপ বাড়ছে।
সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় সঞ্জয় নদীর দশমী ঘাটে একটি ক্লাবের পাশে অমিতকে কে বা কারা মাথায় পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে। এলাকার কিশোর খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিস ধরতে না পারায় ও হাটের মধ্যে গাঁজা, মদ বিক্রির বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা নাগরিক মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছে।
নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, হাটের মধ্যে বেআইনি মদ ও গাঁজার রমরমা বিক্রির কারণেই এলাকায় নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ছে। অথচ পুলিস উদাসীন। তারা অপরাধ দমনে ব্যর্থ। পুলিস যেমন অমিত খুনে অভিযুক্তদের ধরতে পারছে না, তেমনি হাটের মধ্যে মদ, গাঁজার বিক্রিও বন্ধ করতে পারছে না।
নাগরিক মঞ্চের সদস্য নিখিল পোদ্দারের অভিযোগ, পলাশবাড়ি পুলিস ক্যাম্পে সাত-আটজন পুলিশ কর্মী থাকার কথা। কিন্তু প্রায়ই দিনেই এক দু’জনের বেশি পুলিস থাকে না। কোনও দিন আবার ক্যাম্প ফাঁকাই থাকে। রাতে হাটের মধ্যে পুলিসি টহলদারি নেই বললেই চলে। ফলে পুলিসের উদাসীনতায় এলাকায় অপরাধ বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা নামলেই সোনাপুর-ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কেরর উপর পলাশবাড়ি হাট মদ্যপদের দখলে চলে যায়। কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। কিশোর অমিত সঞ্জয় নদীর দশমী ঘাট এলাকায় যেখানে খুন হয়েছিল তার পাশে একটি ক্লাব ও বাসন্তী মন্দির আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই রোজ ওই ক্লাবে মদ ও গাঁজার আসর বসে। স্বভাবতই সন্ধ্যার পর মাতালদের ভয়ে ওই এলাকা এড়িয়ে চলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে অমিত খুনের ঘটনার দু’সপ্তাহ পরেও অভিযুক্ত ধরতে পুলিস ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় নাগরিক মঞ্চ জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে। তারজন্য আগামী রবিবার বৈঠকে বসছেন মঞ্চের কর্তারা।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি অবশ্য বলেন, অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি ওই কিশোর খুনের ঘটনায় স্থানীয় দুষ্কৃতী জড়িত। তদন্ত সঠিকপথে চলছে। অভিযুক্ত এরমধ্যেই ধরা পড়বে। পলাশবাড়ি হাটে পুলিসের নিয়মিত টহলদারি চলে। সেখানে পুলিস ক্যাম্পে পর্যাপ্ত কর্মীও আছে। তা সত্বেও কেন এই অভিযোগ উঠছে খতিয়ে দেখছি।