বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ময়নাগুড়ির বাঁশিলারডাঙার ১৬/১৫৭ নম্বর বুথের কামারপাড়া জুনিয়ার বেসিক স্কুলের মাঠে বিভিন্ন ফল গাছের চারা রোপণ করার কর্মসূচি চলছে। দু’দিন ধরে এই কাজ হচ্ছে। অভিযোগ, কাজ শুরুর প্রথম দিন থেকে এলাকার কিছু বিজেপির নেতা কর্মী কাজ বন্ধ করতে শ্রমিকদের ধমকি দিয়ে আসছিল। এদিন তারা জোর করে কাজ বন্ধ করে দেয়।
খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বাবলু রায় বলেন, বিজেপির দাবি করেছে তাদের দল থেকে সুপারভাইজার নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু নিয়ম আছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুপারভাইজারদের পরিবর্তন করা যাবে না। এদিন ১০ জন শ্রমিক কাজ করতে এসেছিলেন। বিজেপির লোকজন জড়ো হয়ে তাঁদের কাজ করতে দেননি। ওদের অভিযোগ, আমরা নাকি মুখ চিনে দলের লোকদের কাজ দিচ্ছি। কিন্তু ওদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির লোকজন ১০০ দিনের কাজ করতে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। এমনকী ভয়ভীতিও প্রদর্শন করছে। অনেকদিন পর অবশেষে ১০০ দিনের কাজ শুরু করা হলে তা বিজেপির লোকেরা বাধা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। আমি এনিয়ে ময়নাগুড়ির বিডিও’কে জানিয়েছি।
বাঁশিলারডাঙার বিজেপি নেতা তথা উত্তর মণ্ডলের সদস্য আশুতোষ মোদক বলেন, তৃণমূল স্বজনপোষণ করছে। তাই আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ওরা আগে আমাদের বলেছিল ওদের দলের এবং আমাদের দলের লোক মিলেমিশে কাজ করবে। কিন্তু ওরা চুপ করে দু’দিন আগে কাজ শুরু করে দেয়। আমাদের লোক কাজ পাচ্ছে না। আমরা চাই সবাই কাজ করুক। তাই এদিন সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ১০০ দিনের কাজ মানুষের অধিকার। এই কাজে স্বজনপোষণ হলে তো কেউ ছেড়ে কথা বলবে না। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে আমরা আছি। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ছিল।
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোস শেরপা বলেন, আমি ফোনে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এলাকায় বন্ধ আছে। আমি এলাকায় গিয়ে ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব।
উল্লেখ্য, ময়নাগুড়ি ব্লকে লোকসভা নির্বাচনের পর থমকে পড়ে ১০০ দিনের কাজ। ১০০ দিনের কাজে অনিয়ম হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপি আন্দোলনে নেমেছিল। ফলে বিভিন্ন এলাকায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকে। পুজোর পর ফের কাজ শুরু হতে আবার কাজ থমকে গেল।