ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এব্যাপারে বিজেপির মালদহ জেলা সহ সভাপতি তথা মুখপাত্র অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ৩ নভেম্বর থেকে জেলার ৪১টি মণ্ডলে সভাপতি নির্বাচন শুরু হয়েছে। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। সাংগঠনিক কাজকর্মের সুবিধার্থে আরও সাতটি নতুন মণ্ডল তৈরি হতে পারে। আপাতত জেলার ২৯০০টি সাংগঠনিক বুথের সভাপতিরা ৪১জন মণ্ডল সভাপতিকে নির্বাচিত করবেন। তবে বুথ সভাপতিদের সমর্থনকেই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে না। কোনও মণ্ডলে সংখ্যাগরিষ্ঠ বুথ সভাপতির সমর্থন পাওয়া ব্যক্তিকে দল যোগ্য মনে না করলে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, নির্বাচন পদ্ধতিতে তুলনায় কম সমর্থন পাওয়া যোগ্য লোক মণ্ডল সভাপতির পদ পেতেই পারেন। কারণ নব নির্বাচিত মণ্ডল সভাপতিরা আগামী তিন বছর দায়িত্বে থাকবেন। তাঁরাই নিজ নিজ এলাকায় দলকে ভোট বৈতরণী পার করাবেন। ফলে সবদিক থেকে যোগ্য লোকের কাঁধেই দায়িত্বভার বর্তাবে। তবে এইরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্টদের ডেকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। এনিয়ে বিবাদের কোনও সম্ভাবনা নেই। দলের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সকলে একজোট হয়ে কাজ করবেন বলে আমরা মনে করি।
উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদহে আগে বিজেপির তেমন শক্তি ছিল না। আমের জেলা মালদহ কংগ্রেসের গড় বলেই পরিচিত ছিল। জননেতা গনি খান চৌধুরীর প্রয়াণের পর এজেলায় কংগ্রেস ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হতে শুরু করে। জায়গা করে নেয় তৃণমূল। সম্প্রতি বিজেপি জেলায় ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র দখলের পর গেরুয়া শিবির আরও চাঙা হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এজেলায় বিজেপি ভালোই দাগ কাটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দলের নেতারা মালদহ থেকে একাধিক মুখকে বিধানসভায় পাঠানোর জন্য আদাজল খেয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন। তবে কিছু কিছু জায়গায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল গেরুয়া শিবিরের নেতাদের গলায় কাঁটার মতো বিঁধছে।
নিচুতলায় দলীয় অন্তর্কলহ মেটাতে মণ্ডল সভাপতিদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে। ফলে ওই পদে দক্ষ লোকের নির্বাচনকেই আপাতত বিজেপি নেতৃত্ব পাখির চোখ করেছে। তাদের মতে, বুথের পরেই মণ্ডল দলের অন্যতম ভিত্তি। তা নড়বড়ে হলে সংগঠন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। ফলে মণ্ডলের দায়িত্ব যোগ্য লোকের হাতে যাওয়াটা প্রয়োজন বলেই তাঁরা মনে করেন।