ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
প্রভাতবাবু বলেন, দিন কয়েক আগে স্ত্রী ফুলমালা সরকার কুয়োর পাড়ে পড়ে যায়। সে মাথায় চোট পায়। সেদিনই ওকে প্রথমে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটিতে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান মাথায় চোট গুরুতর। তাই তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করেন। স্ত্রীকে পরবর্তীতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাই। চিকিৎসার খরচ বাবদ বিপুল অঙ্কের প্যাকেজ শুনে আমি স্থির করি, এখানে চিকিৎসা না করিয়ে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাব। হাতে অত টাকা না থাকায় আমি বিঘা খানেক জমি একজনের কাছে বন্ধক রাখি। তিনি আমাকে তিনলক্ষ টাকা দেন। সেই টাকাই শোবার ঘরে একটি ব্যাগে রেখেছিলাম। চলতি সপ্তাহেই স্ত্রীকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করি। কিন্তু এভাবে টাকা চুরি যাওয়ায় আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। স্ত্রী শয্যাশায়ী। বাড়িতেই ওর স্যালাইন চলছে। এই পরিস্থিতিতে কি করব তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এভাবে ঘরে ফেলে রাখলে হয়তো স্ত্রীকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
প্রভাতবাবুর মেয়ে পরিণীতা সরকার বলেন, মঙ্গলবার রাত দেড়টা পর্যন্ত আমি, বাবা, দিদা, ভাই সকলে জেগে ছিলাম। আমরা দফায় দফায় উঠে মা’র পাশে গিয়ে বসেছি। দেড়টার পর সকলেই ঘুমিয়ে যাই। ভোরে ঘুম ভাঙলে দেখি ঘরের মধ্যে কাগজপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। তখনও আমাদের চুরির ব্যাপারে কোনও সন্দেহ হয়নি। দিদা পরে লক্ষ্য করে মা যে বিছানায় শুয়ে আছে তার পাশে সিঁধ কাটা রয়েছে। এরপর দেখি যে ব্যাগে টাকা ও মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিল সেসব নেই। এনিয়ে বাবা ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। আমরা টাকা না পেলে মা’কে হয়তো বাঁচাতেই পারব না।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিস গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। আমরা চোর ধরতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছি।
ময়নাগুড়ি সদরে কয়েক মাস ধরে পরপর চুরির ঘটনা ঘটছে। এরআগে ময়নামাপাড়ায় মুদিখানা দোকানে চুরি হয়। কালীপুজোর সময় সুভাষনগরে গৃহস্থের অনুপস্থিতি ঘরে চোর ঢুকে সোনার গয়না সহ নগদ টাকা নিয়ে পালায়। এছাড়াও মায়নাগুড়ির বাজারে মোবাইল ফোন, মুদিখানা দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি থানার পুলিস মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরপর এমন চুরির ঘটনায় বাসিন্দারা সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।