ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
নীহারবাবু বলেন, ৫০ মাইক্রনের কম পুরু ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালাব। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা রাস্তায় নামব। আইন লঙ্ঘনকারীদের ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। তবে অভিযান শুরুর আগে আমরা ব্যবসায়ী সংগঠন, পুলিস ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠক করব।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে আমাদের কোনও দ্বিমত নেই। আমরাও চাই এধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হোক। তবে এব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্লাস্টিক বন্ধে পুরসভাকেই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নিতে হবে। আমরা এব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষকে সবরকম সহযোগিতা করব।
প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে পুরসভার তরফে ইংলিশবাজার শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত করার প্রয়াস নেওয়া হয়। ৫০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। ওইসময় কিছুদিনের জন্য পুর কর্তৃপক্ষ লাগাতার অভিযান চালায়। ফলে সাময়িক সময়ের জন্য ক্ষতিকর ক্যারিব্যাগের ব্যবহার কমেও যায়। কিন্তু তারপর পুরসভার তরফ থেকে আর বিশেষ নজরদারি চালানো হয়নি। পুরসভার নজরদারির অভাবে ফের পরিস্থিতি আগের রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ। যথেচ্ছ প্লাস্টিক সমগ্রীর ব্যবহারে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দূষণ ছড়ানোর পাশাপাশি নিকাশি নালা বুজে গিয়েও বিপত্তি বাড়ছে। প্লাস্টিকের লাগামছাড়া ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন জায়গার পরিবেশের ক্ষতি দিনদিন বাড়ছে। এব্যাপারে স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা আশঙ্কার কথা জানিয়ে একাধিকবার শহরবাসীকে সতর্ক করেছেন।
সম্প্রতি নিম্নচাপের জেরে শহরে টানা বৃষ্টি হয়। ওইসময় ইংলিশবাজারে নিকাশি সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। প্লাস্টিক জমে গিয়ে বেশিরভাগ নিকাশি নালা বুজে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছিল বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে এবার পুর কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের পাশাপাশি থার্মোকলের থালা, বাটি বিক্রি বন্ধ করতেও পুরসভা উদ্যোগী হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে রাস্তার পাশে প্রচুর খাবারের স্টল রয়েছে। ঠেলাগাড়িতেও খাবার বিক্রি হয়। ওইসব জায়গায় যথেচ্ছভাবে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার হয়। অন্যান্য হোটেল, রেস্তোরাঁতেও ক্যারিব্যাগে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি হয়। সব্জি এবং মাছের বাজারেও ক্যারিব্যাগ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারের পর ওইসব ক্যারিব্যাগ রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়। ফলে তা থেকে দূষণ ছড়ায়। বন্ধ হয় নিকাশি নালার মুখ।
ইংলিশবাজার পুর এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য পুরসভার এধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। শহরের বাসিন্দা নীলাঞ্জনা দাস বলেন, যেধরনের পাতলা প্লাস্টিক অধিকাংশ দোকানে ব্যবহার করা হয় সেগুলি পরিবেশের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। এই প্লাস্টিকগুলি সহজে পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থেকে থেকে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এধরণের প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা তো নিষিদ্ধ। তাও দেখি শহরের অনেক দোকানেই বিক্রেতারা ক্রেতাদের সেই প্লাস্টিকেই জিনিসপত্র দেন। পরে সেগুলো যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। নর্দমার মুখে গিয়ে আটকে থাকে আর নিকাশির সমস্যা বাড়ায়। এধরনের প্লাষ্টিকের ব্যবহার একদম বন্ধ করে দেওয়া উচিত।