ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ টাউন এলাকায় রবীন্দ্র মূর্তির কাছে কোর্ট মাঠের কিছু জমি প্রশাসনের কাছ থেকে পুরসভা নিয়েছে। সেখানেই এই মঞ্চ তৈরি হবে। মঞ্চের চারদিক খোলা থাকবে। পিলার দিয়ে মাথার উপরে ছাদ থাকবে। একটি আধুনিক গ্রিন রুমও হবে। মোট প্রজেক্ট দেড় কোটি টাকার। এখন ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা খরচ হবে। বাকিটা পরে হবে।
স্থানীয়রা বলছে, শহরে হাতেগোনা কয়েকটি মঞ্চের আছে। সেগুলির মানও ভালো নয়। অথচ শহরে সাংস্কৃতিক চর্চার পরিমণ্ডল রয়েছে। খোলামেলা পরিবেশে অনুষ্ঠান করার জন্য শহরে বিভিন্ন মহল থেকেই দীর্ঘ দিন ধরে মুক্তমঞ্চ তৈরির দাবি রয়েছে। শহরে কবি, সাহিত্যিক, নৃত্যশিল্পী, বাচিকশিল্পীদের নানা সংস্থা রয়েছে। সারা বছরই তারা ছোট-বড় বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকে। সেসব অনুষ্ঠান সব সময় হলে ঘরে করা সম্ভব হয় না। এধরনের অনুষ্ঠানে বাজেট কম থাকার ফলে আলাদা করে স্টেজ করে অনুষ্ঠান করাও সম্ভব হয় না। মুক্তমঞ্চ হলে কম খরচে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে। নেতাজি সুভাষ মঞ্চ (পাবলিক হল) দীর্ঘ দিন আগে ভাঙা হয়েছে। সেখানে অডিটোরিয়াম করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। সেটি এখন ব্যবহার হচ্ছে না। সূর্য সেন মঞ্চে জায়গা কম। বড় অনুষ্ঠান করা সম্ভব না। ছোট অনুষ্ঠানের জন্যও সেখানে অনেক ভাড়া দিতে হয়। কয়েক মাস আগে টার্মিনাসে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে একটি মুক্তমঞ্চ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও অনুষ্ঠানের জন্য সময় পেতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া ওই এলাকার পরিবেশেও সব ধরনের অনুষ্ঠান করা যায় না। কম খরচে অনুষ্ঠান করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশে একটি মুক্তমঞ্চ তৈরির দাবি শহরে ছিলই। নিউ টাউন এলাকায় পুরসভা সে কাজ শুরু করায় শহরের সকলেই খুশি।
স্থানীয়দের দাবি মুক্তমঞ্চ তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হোক। ওই নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে শহরে মঞ্চের অভাব কমবে। তাদের দাবি এধরনের মঞ্চে রাজনৈতিক দলগুলিরও সভা করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। কোর্ট মাঠ কিংবা হাই স্কুলের মাঠে মঞ্চ করে রাজনৈতিক সভা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে টার্মিনাসেও সভা হয়। মুক্তমঞ্চটি হলে সেখানেও বিভিন্ন দল বা সংগঠন তাদের সভা করতে পারবে।