ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এই প্রসঙ্গে এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তথা শিশু, নারী উন্নয়ন ও জনকল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের মর্জিনা খাতুন বলেন, অত্যন্ত জনবহুল এই অঞ্চলগুলিতে সত্যিই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খুবই প্রয়োজন। চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য ওই এলাকার বাসিন্দাদের খুব কষ্ট করতে হচ্ছে। হাসপাতালের দাবি যে একটি ন্যায্য তা কার্যত স্বীকার করে নেন তিনি। পাশাপাশি জেলা পরিষদের বৈঠকে হাসপাতালের দাবি জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মর্জিনা খাতুন।
এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা জানান, কোনও অঞ্চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য কিছু সরকারি নিয়মনীতি রয়েছে। সেই অঞ্চলের জনসংখ্যা ও নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব সহ আরও কয়েকটি পয়েন্ট বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের যেখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি উঠেছে, সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে যদি সত্যিই সেই অঞ্চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজন থাকে তবে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মশালদহ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার কোনও রাস্তার অবস্থা ভালো নয়। সংস্কারের অভাবে রাস্তাগুলি বেহাল। তাই কোনও হাসপাতালে নির্বিঘ্নে পৌঁছনো যায় না। এই নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই ইসলামপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেখানে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসকের অভাব রয়েছে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। একই অবস্থা দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিরও। তাই ঠিকঠাক চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর, চণ্ডীপুর, খোপাকাটি, নওয়াপাড়া, ভাজান্না, ভাকুরিয়া, রশিদপুর, ইসলামপুর, ইমামনগর, বস্তা প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদের ছুটতে হয় হরিশ্চন্দ্রপুর, ভালুকা বা মশালদহ বাজারে। কিন্তু
এই এলাকা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের দূরত্ব ২০ কিলোমিটারেরও বেশি। ভালুকা গ্রামীণ হাসপাতালের দূরত্বও প্রায় সেরকমই। আর মশালদহ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। কিন্তু হাসপাতালে আসার রাস্তা বেহাল হওয়ায় গর্ভবতী মায়েদের ও মুমূর্ষু রোগীদের যথাসময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। বাসিন্দারা জানান, তাই অনেক সময়ে বাড়িতেই গর্ভবতীদের সন্তান প্রসব হয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এলাকায় গ্রামীণ হাসপাতাল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জনঘনত্ব ও দূরত্বের বিষয়টি প্রশাসনকে বিবেচনা করে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিতে বিচার করারও আবেদন জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।