পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও কি কারনে ওই কিশোরকে খুন প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিস এখনও তা জানতে পারেনি। এদিকে মৃতদেহ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিশোরের বাড়ির লোকজনও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিসের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। যদিও মঙ্গলবার পুলিস অস্বাভাবিক একটি খুনের মামলা রজু করে ঘটনার তদন্তে নামে।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, ওই কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তেই পরিষ্কার হবে ঠিক কি কারণে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বা কারা ঘটনার পেছনে আছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর ওই কিশোর ড্রপ আউট হয়। বাবা খোকন বর্মন আইসক্রিম বিক্রি করে সংসার চালান। ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে মা রেখাদেবী ঘন ঘন সংজ্ঞা হারাতে থাকেন। পুলিস সোমবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে মৃত কিশোরের পকেটে থাকা তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে। ওই মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে পুলিস খুনের ঘটনার তদন্ত করছে। ঘটনাস্থলে এদিন সকালেও রক্তের দাগ দেখা যায়। পাশেই একটি বস্তার মধ্যে পাথর ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে পাড়ায় ফুটবল খেলে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়িতে বাবা, মা ও একমাত্র বোনের সঙ্গে সে চা খায়। ওই সময় বাড়ির বাইরে থেকে কিশোরের নাম ধরে কেউ ডাকলে অমিত চলে যায়। কিন্ত ওই সময় লোডশেডিং থাকায় অন্ধকারে বাড়ির লোকজন বুঝতে পারেনি কে ওকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ৮টা নাগাদ বর্মন দম্পতি খবর পায় বাড়ির পাশে একটি ফ্লাড শেল্টারে পাশে নদীর ঘাটে ছেলে জখম অবস্থায় গোঙাচ্ছে। পরে বাড়ির লোকজন গুরুতর জখম অমিতকে উদ্ধার করে প্রথমে পলাশবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিশোরের বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, মেডিক্যাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিন্তু হতদরিদ্র বাবার পক্ষে ছেলেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সামর্থ ছিল না। ফলে রাতেই বাড়িতে ফিরিয়ে আনার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টা নাগাদ ধূপগুড়িতে অমিত মারা যায়।
মৃত কিশোরের বাবা খোকনবাবু বলেন, আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে। কারা ছেলেকে মেরে ফেলল বুঝতে পারছি না। পুলিস দ্রুত দোষীদের ধরে কঠোর শাস্তি দিক।
স্থানীয় পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সৌরভ পাল বলেন, ওই ছেলেটিকে কারা এভাবে মারল বুঝতে পারছি না। পুলিস সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।