কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ডেঙ্গুতে মৃত ওই মহিলার বাড়ি সুভাষপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই ওই মহিলা জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার জ্বরের মাত্রা বাড়লে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের মেয়ে রুমা সরকার বলেন, মায়ের অস্বাভাবিক জ্বর ছিল। রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে ৯৪ হাজারে দাঁড়িয়েছিল। মেডিক্যালে সেভাবে চিকিৎসা হল না। ডেঙ্গুতে মা’র মৃত্যু হল। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দাদা এখনও নার্সিংহোমে ভর্তি আছে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ওই মহিলার মৃত্যুর কথা শুনেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।
এদিন সকালে মৃতের বাড়িতে আলাদাভাবে যান পর্যটনমন্ত্রী ও পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। মৃতের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে বারবার সর্তক করার পরেও শহর পরিষ্কার করছে না পুরসভা। ফুলেশ্বরী নদী জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। সেখানেই মশার আঁতুরঘর হয়েছে। শহরবাসীর কথা না ভেবে মেয়র চীন সফর নিয়ে ব্যস্ত। এটা মানা যায় না।
মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ওই মহিলার মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। মেডিক্যালে ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হলে হয়তো মৃত্যু এড়ানো যেত। কলকাতায় ডেঙ্গুতে ঘন ঘন মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও সেখানকার মেয়র বিদেশে গিয়েছিলেন। কাজেই মন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই। ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৬ অক্টোবর জ্বরে আক্রান্ত এক মহিলার মৃত্যু হয়। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি ছিল। তিনি ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। এরপর মেডিক্যালে জ্বর নিয়ে ভর্তি এক শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। তারাও ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। তাদের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলায়। একের পর এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত শহরবাসী।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, সুভাষপল্লির ওই মহিলার মৃত্যুর কারণ জানা নেই, খোঁজ নেব। তবে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে জেলায় কোনও মৃত্যু হয়নি।