কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলার পুলিস জানিয়েছে, সোমবার শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনারেটের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আলিপুরদুয়ার জেলার ২১৫টি ক্লাব ও পুজো কমিটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আলিপুরদুয়ারের ২১৫টি ক্লাব বা পুজো কমিটি থেকে মোট ৬৩৯ জন কর্মকর্তা মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আলিপুরদুয়ারের অন্যতম বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো কমিটি মিলন সংঘের অন্যতম কর্তা তুলসী রায় বলেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীর ডাক পেয়ে আমরা আপ্লুত। এর আগে রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী বিজয়া সম্মিলনীতে আমাদের ডাকেননি। এই ঘটনা ভুলব না।
আলিপুরদুয়ারের বাবুপাড়া ক্লাবের দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক অভিষেক কর্মকার বলেন, দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে বাঙালির দুর্গাপুজোর আবেগেরই মর্যাদা দিলেন। রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী এর আগে এমন উদ্যোগ নেননি।
মুখ্যমন্ত্রীকে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে পেয়ে অন্যান্য জেলার মতো আলিপুরদুয়ারের অনেক পুজো কমিটির কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নানা উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। বিজয়ার অনুষ্ঠানে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার সামগ্রী দিতে পেরে তাঁরা সকলেই আপ্লুত। আবার বিজয়ার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার বা স্মারক দিতে না পারার জন্য অনেক পুজো কমিটির কর্তাদের আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে। অনেক পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কথায়, আগে থেকেই যদি জানা যেত মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ার অনুষ্ঠানে পুজো কমিটিগুলিকে ডাকবেন তাহলে উপহার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া যেত।
ফালাকাটার কলেজপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এককর্তা রানা মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে বিজয়ার অনুষ্ঠানে ডাকবেন এটা জানা ছিল না। এটা যদি জানতাম তাহলে অবশ্যই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ক্লাবের স্মারক দিতাম।
রাজ্যে পালা বদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে ঘন ঘন আসেন। যা বাম আমলে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ঘটনা হয়নি। সোমবার শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনারেটের মাঠে বিজয়ার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুজোতে উত্তরবঙ্গে না আসলেও এখানকার দুর্গা মণ্ডপ তিনি টিভেতে দেখেন। এখানকার পুজোর খোঁজ রাখেন।
মাদারিহাটের একটি পুজো কমিটির এককর্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য খুবই ভালো লেগেছে। কারণ বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ তো দূরের কথা এর আগে কোন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে সেভাবে আসতেন না। বাম জমানায় উত্তরবঙ্গ বরাবরই অবহেলিত ছিল।