কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, মদন মোহন বাড়ির দিঘি দখল করার অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা রাস্তার পাশে সাফাই কাজের সামগ্রী রাখার জন্য একটি চালাঘর তৈরি করেছি। ওই জায়গাটি পুরসভারই। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড অবশ্য গোটা বিষয়টি খতিয়ে না দেখে কিছু বলতে নারাজ।
বিগত বাম বোর্ডের সময়ে মদন মোহন বাড়ির দিঘি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মদন মোহন বাড়ির দিঘির পাড়ে অতিথি নিবাস তৈরি করে জলাশয়ের একাংশ বুজিয়ে ফেলা হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা এনিয়ে আন্দোলন করলে সেবার পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, দিঘিতে সুইমিং পুল তৈরি করা হবে। তারপরে কয়েক দশক অতিক্রান্ত হলেও সেসব কিছুই হয়নি। স্থানীয়রা জানান, মদন মোহন বাড়ির দেবত্র সম্পত্তি এই দিঘিটি। তৃণমূলের পুরবোর্ড ক্ষমতায় আসার পর দিঘিটি সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
শহরের বাজার এলাকার কাছেই দিঘিটি অবস্থিত। তাই যেকোনও অগ্নিকাণ্ডে এখন থেকে জল সরবরাহ করত দমকল বিভাগ। শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকায় ব্যবসায়ীদের একাধিক বড় গোডাউন রয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে এমন গুরত্বপূর্ণ একটি জায়গার দিঘি কেন ভরাটের চেষ্টা চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। শহরের বাসিন্দা তথা বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক মনোজ ঘোষ বলেন, মাথাভাঙার মদন মোহন বাড়ির দিঘিটি কোচবিহারের দেবোত্তর ট্রাস্টের সম্পত্তি। কিন্তু বিগত বাম আমল থেকেই দিঘিটি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা দিঘির পাড়ের রাস্তার ধারের একাংশে একটি ঘর বানিয়ে সেখানে সাফাইয়ের কাজকর্মের সরঞ্জাম রাখা শুরু করেছে। আশুতোষ হলের পিছন দিকটায় দিঘিতে প্রতিনিয়ত আর্বজনা ফেলায় জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই পুরসভার। দিঘিটি সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কাজই করেনি পুরসভা।
চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর মদন মোহন বাড়ির দিঘিটি সংস্কার করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলাম। তারপর জানতে পারি সেটি দেবোত্তর ট্রাস্টের সম্পত্তি। আমরা সেখানে কোনও কাজ করতে পারি না। বিগত বাম বোর্ড মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিল। আমরা দিঘিরপাড় এলাকা দখল করছি, এই অভিযোগ ঠিক নয়। দিঘিতে আর্বজনা কারা ফেলছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব। দিঘিটি সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা আবার এনিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলব।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য প্রসেনজিৎ বর্মন বলেন, মাথাভাঙার মন্দিরটি তো পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। তবে দিঘিটির চারপাশে কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। দিঘিটি কী অবস্থায় আছে সেব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।