কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং জেলা সফরের সূচনা হল। সম্মিলনীতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে পর্যটন কেন্দ্র ভোরের আলো গড়ে তোলা হয়েছে। তিন-চার মাসের মধ্যেই আমবাড়িতে উড়ালপুল চালু হবে। তা হলে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে সহজে যাওয়া যাবে। এছাড়া, শিলিগুড়ির সঙ্গে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের সহজে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এর বাইরে বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনাল বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জমি জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়িতে বিশ্ব ক্রীড়া কেন্দ্র, সার্কিট বেঞ্চ গড়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে শিলিগুড়ি থেকে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে যেতে অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হয়। নির্মীয়মান উড়ালপুল চালু হয়ে গেলে সেই দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার কমবে।
অনুষ্ঠানের পর পর্যটনমন্ত্রী বলেন, গজলডোবা থেকে ক্রান্তি যেতে গেলে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। ওই উড়ালপুল চালুর পর তা কমে দাঁড়াবে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ, গজলডোবা থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ২৩ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের যেমন উপকার হবে, তেমনি পর্যটকদেরও সুবিধা হবে। তাছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে ভোরের আলোর মতো উত্তরবঙ্গের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সহজে যোগাযোগ করার জন্য রোড নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা আরও চাঙা করা হচ্ছে। এজন্য কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আজ, মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় সেখানে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, রূপশ্রী, সমব্যথী, ঐক্যশ্রী, জমির পাট্টা দান সহ নানা সামাজিক প্রকল্পের অগ্রগতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টাকায় চলা বিভিন্ন নির্মাণ কাজের হালহকিকত পর্যালোচনা করা হবে। এই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী কার্শিয়াংয়ে যাবেন। আগামী বুধবার কার্শিয়াংয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে রিপার্ট প্রস্তুত করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন।