বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এব্যাপারে মৌসম বলেন, দেড় মাস আগে দুই পুরসভায় অনাস্থা আসে। পুরসভার কাজকর্ম নিয়েই দলের কাউন্সিলারদের একাংশ আপত্তি তোলেন। বিক্ষুব্ধরা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন। তারপর রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের পুরসভার কাজকর্মে নজর রাখার জন্য নির্দেশ দেয়। সেই মতো দুই পুরসভায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল নেতাদের নিয়ে এদিন বিকেলে কোর কমিটি গঠন করা হয়। আমি দু’টি কমিটির চেয়ারপার্সন হিসাবে কাজ করব। এরফলে চেয়ারম্যানদের ক্ষমতার খর্ব হবে না। আমরা বিভিন্ন কাজকর্মে নজর রাখার পাশাপাশি পুরসভাকে পরামর্শ দেব। আসল সিদ্ধান্ত সিআইসি এবং বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া হবে। ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দারা নিকাশি সমস্যায় জেরবার হয়ে রয়েছেন। তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্যও আমরা কাজ করব। ইংলিশবাজার পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগেরও তদন্ত করবে দল। রাজ্য থেকে কবে তদন্ত কমিটি পাঠানো হবে তা শীঘ্রই জানা যাবে।
নীহারবাবু বলেন, আমি যে কোনও ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি আছি। দল আমাকে চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছে। দল পুরসভার কাজকর্মে নজর রাখতেই পারে। এনিয়ে আমার আপত্তির প্রশ্ন ওঠে কোথায়? কার্তিকবাবু বলেন, দলের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। আগামী দিনে কাজ করার ক্ষেত্রে কমিটির পরামর্শ আমাদের কাজে লাগবে। আমরা সেইমতোই চলব।
এদিকে, এদিনের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কমিটিতে জায়গা না পাওয়ায় অনেকে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ জানিয়েছেন। এক কাউন্সিলার বলেন, পুরসভার কাজে নজরদারির জন্য দল কমিটি গঠন করতেই পারে। তবে ওই কমিটি পুরসভার অভ্যন্তরীণ কাজে নাক গলাতে পারবে না। কারণ কমিটির বাকি সদস্যরা পুরসভার কাউন্সিলার হলেও চেয়ারপার্সন নন। তাছাড়া কমিটির বাইরে থাকা কাউন্সিলাররা এব্যাপারে মতামত জানাতে পারবেন না। ফলে কমিটির সিদ্ধান্ত বোর্ড মিটিংয়ে কতটা গুরুত্ব পাবে তা নিয়ে আমরা সংশয়ে রয়েছি। এব্যাপারে মৌসম বলেন, পুরসভার সব কাউন্সিলার কমিটির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু কমিটিতে সবাইকে জায়গা দেওয়া যায় না। ফলে সীমিত সংখ্যক কাউন্সিলারকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটির কাজকর্মে কোনও অসুবিধা হবে না।
অন্যদিকে, মোথাবাড়ি ও রতুয়ার মতো এদিন গাজোল বিধানসভার নেতানেত্রীদের নিয়ে ২২ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মাথায় গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসকে রাখা হয়। শাসক দলের অন্তর্কলহ নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এদিন কমিটি গঠন করে। বিধানসভা এলাকার নেতানেত্রীদের ইংলিশবাজার শহরে ডেকে ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে মৌসম নুর এবং গোলাম রব্বানি সহ জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। দীপালিদেবী বলেন, নভেম্বর মাসের মধ্যে আমরা ব্লক, অঞ্চল এবং বুথ কমিটি গঠন করে ফেলব। এব্যাপারে দলের নির্দেশ মতো কাজ করব। আমাদের এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল কিছু নেই।