পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দাদাভাই ক্লাবের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছর কালীপুজোয় আমরা নতুন কিছু উপহার দিই শহরবাসীদের। এবারে আমাদের পুজোর ৪২ তম বছর। এবার আমরা এলিয়েন ওয়ার্ল্ড তৈরি করছি। মহাকাশযানে চেপে প্রতিমা দেখতে ভিড় করবেন দর্শনার্থীরা। চ্যালেঞ্জ ক্লাবের সম্পাদক চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার আমাদের পুজোর ৪৭তম বর্ষ। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। মণ্ডপের পাশাপাশি চন্দননগরের আলোকসজ্জাও অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে।
জলপাইগুড়ি দাদাভাই ক্লাবের কালীপুজো শহরের অন্যতম বড় বাজেটের পুজো। তাঁদের বাজেট প্রায় ত্রিশলক্ষ টাকা। মণ্ডপটি হচ্ছে মিসাইলের মতো দেখতে মহাকাশযানের আদলে। তার প্রবেশ পথে থাকবে। সেই মহাকাশযানে চেপে ব্রহ্মাণ্ড ঘুরে বেড়াবেন দর্শনার্থীরা। সেখানে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রের মাঝে ভিনগ্রহী প্রাণীদেরও খুঁজে পাওয়া যাবে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে সেইসব এলিয়েনরাও পুজো উপভোগ করবেন। কলকাতার কুমোরটুলির শিল্পী চন্দন পাল মণ্ডপ সহ প্রতিমা তৈরি করছেন। ২৫ অক্টোবর কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা হবে। ২৬ তারিখ পুজোর উদ্বোধন হবে। প্লাই আর কাঠ দিয়ে মহাকাশযান তৈরি করা হচ্ছে। মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভিনগ্রহীদের মডেল। থাকছে আলোর কারসাজিও।
উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রতি বছর নিত্যনতুন থিম উপহার দেয় এই পুজো কমিটি। আর প্রতি বছরই ঢল নামে মানুষের। চন্দননগরের আলোকসজ্জা আর কলকাতার শিল্পীর কাজ দেখতে এবছরও ব্যাপক ভিড় হবে।
দাদাভাই ক্লাবের পাশে চির প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যালেঞ্জ ক্লাব কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে। ৪৭ বছরে পর্দাপণ করা এই ক্লাবের পুজোর বাজেট এবার সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। ময়নাগুড়ি ও হলদিবাড়ির শিল্পীরা মণ্ডপ তৈরি করছেন। ১৪ জন কর্মী ২০দিন ধরে মণ্ডপের কাজে ব্যস্ত। বাশ, কাঠ, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মণ্ডপের মাঝে সুবিশাল ঝাড়বাতি থাকবে। স্থানীয় প্রতিমাশিল্পী চঞ্চল পাল প্রতিমা তৈরি করছেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, মণ্ডপে আলোকের কারসাজিতে দর্শনার্থীদের মাতিয়ে দেবেন তাঁরা। ২৬ অক্টোবর হবে পুজোর উদ্বোধন। সেদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকেই মণ্ডপে মানুষের ঢল নামবে বলে পুজো কমিটি আশাবাদী।