বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ধূপগুড়ি শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এসটিএস ক্লাব। এবছর এই ক্লাবের পুজো ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এবছর তাঁদের ক্লাবের পুজোর থিম গঙ্গাদূষণ। কীভাবে প্লাস্টিক ও বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ দিয়ে ক্রমাগত দূষিত হয়ে চলেছে গঙ্গা নদী সেটাই তাঁরা থিমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন মণ্ডপে। থিম অনুযায়ী এসটিএস ক্লাবের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছেন মেদিনীপুরের শিল্পী। প্রতিমাও আসছে মেদিনীপুর থেকেই। আলোকসজ্জা নিয়ে আসা হচ্ছে চন্দননগর থেকে। এই ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তা গুড্ডু সিং, গোপাল সাহারা বলেন, প্রতিবছর আমাদের পুজোয় ব্যাপক লোকসমাগম হয়। দুর্গা পুজোর আগে থেকেই আমাদের মণ্ডপসজ্জার কাজ শুরু হয়ে যায়। এবছর আমাদের গঙ্গাদূষণের থিম মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের ভালো লাগবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা সকল ডুয়ার্সবাসীকে আমাদের পুজো দেখতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
অপর দিকে, ধূপগুড়ি শহরের আরও একটি বিগবাজেটের পুজো হল ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের পুজো। এবছর এই পুজো ৪১তম বর্ষে পদার্পণ করছে। এবছর এই পুজোর থিম চন্দ্র অভিযান ২। মণ্ডপসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন দিনহাটার শিল্পী। এই ক্লাবেরও প্রতিমা আসছে মেদিনীপুর থেকে। আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকছেন স্থানীয় শিল্পী।
পুজো উদ্যোক্তা চন্দন সাহা বলেন, আমাদের ক্লাবের পুজোয় প্রতি বছর ব্যাপক লোকসমাগম হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। গোটা মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হবে আলো দিয়ে। মণ্ডপে ঢুকলেই দর্শনার্থীদের মনে হবে যেন মহাশূন্যে রয়েছেন। এবছরের আমাদের এই প্রয়াস সকলের ভালো লাগবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে আমাদের এই পুজোয় সকল ডুয়ার্সবাসীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ধূপগুড়ির কালীপুজোর আলাদা খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবছর এই শহরের উদ্যোক্তারা ডুয়ার্সবাসীকে চোখ ধাঁধানো পুজো উপহার দেন। নিত্যনতুন থিমের মণ্ডপ ও বাহারি আলোকসজ্জা কালীপুজোর দিনগুলিতে শহরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। শুধু জলপাইগুড়ি জেলা নয়, অন্য জেলা থেকেও ধূপগুড়ির প্রতিমা, মণ্ডপ ও আলোকসজ্জা দেখতে বহু লোক এই শহরে ভিড় জমান। দর্শনার্থী টানতে তাই শহরের ক্লাবগুলির মধ্যেও প্রতিযোগিতা চলে।