কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আগে কোচবিহার জেলার সীমান্ত এলাকায় উৎসবের মরশুম শুরু হলেই কুশান যাত্রাগানের আড়ালে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর বসত। পরবর্তীতে জুয়া খেলার ধরন পাল্টায়। যাত্রাগানের আড়ালে এখানে জুয়ার আসর বসত। কিন্তু পুলিসের কড়া নজরদারির জেরে সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেকারণে এখন আর যাত্রার আসর বসে না বললেই চলে। কিন্তু জুয়াড়িরা জুয়া খেলার ধরন পাল্টে নিয়েছে। বাড়িতে বসানো হচ্ছে জুয়ার আসর।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, পুজোর মরশুমে জুয়ার আসর বসানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। সীমান্ত এলাকার কোথায় জুয়ার আসর বসছে তা সাদা পোশাকের পুলিস কর্মীরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কোনও রাজনৈতিক দলের যতই প্রভাবশালী ব্যক্তি হোন বা তাঁর পরিচিত কাউকেই ছাড়া হবে না। জুয়াড়িকে ধরলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মাথাভাঙা মহকুমার মাথাভাঙা-১ এবং শীতলকুচি ব্লক সহ দিনহাটা মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার মধ্যে পড়ে। কয়েক বছর আগেও দুর্গাপুজার সময় থেকে ওসব জায়গায় প্রকাশ্যেই জুয়ার আসর বসত। এখন প্রকাশ্যে গাছতালায় কিংবা খোলা মাঠে এমন আসর না বসিয়ে নির্জন এলাকায় কিংবা কোনও বাড়ির মধ্যে দিনের বেলাতেই জুয়ার আসর বসছে। সীমান্ত এলাকার একাংশ গ্রামবাসীর বক্তব্য, কমবেশি অধিকাংশ জুয়ার আসরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ হাত রয়েছে। আচমকা পুলিস হানা দিয়ে কাউকে ধরলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় ফোন করে বলা কিংবা ওই নেতা খোদ নিজেও অনেক সময়ে থানায় হাজির হন। সম্প্রতি মাথাভাঙা শহরে জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী এক নেতার অতি পরিচিত ব্যক্তি ধরা পড়ে। পুলিস অফিসারদের একাংশের বক্তব্য, ওই ব্যক্তি গ্রেপ্তারের পর প্রভাবশালী মহল থেকে পরপর ফোন আসতে থাকে। কয়েক ঘণ্টা থানায় রেখেই পুলিস তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ওই ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেও পুলিসের একটি মহলের দাবি, এমন ঘটনা আকছাড় ঘটছে।