কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, সকলে শুধু দিনের পর দিন প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। গ্রামে গ্রামে জলের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। জলকষ্ট দূর করতে যাঁদের সমর্থ আছে তাঁরা অনেকেই নিজের বাড়িতে সাব মার্সিবল বসিয়ে নিয়েছেন। বাকিরা জলের জন্য অন্যের বাড়িতে ছুটছেন। আবার কেউ বা এখনও নলকূপের জলের উপরেই নির্ভরশীল হয়ে রয়েছেন।
গ্রামবাসীরা আরও বলেন, জলের সমস্যাই এলাকায় সবচেয়ে বেশি। খাওয়ার জল জোগাড় করতে আমাদের খুব কষ্ট করতে হয়। বাড়ির মহিলা প্রতিদিন আশপাশের বাড়িতে গিয়ে সাব মার্সিবল থেকে জল টেনে নিয়ে আসেন। অনেকে নলকূপের জলই বাধ্য হয়ে খাচ্ছেন। এই জলের সমস্যা সমাধানের জন্য এখানে দু’বছর আগে পিএইচই প্রকল্প গড়া হয়েছে। এর পরিকাঠামো সব তৈরি। গ্রামগুলিতে জলের পাইপ লাইনও বসে গিয়েছে। কিন্তু পরিষেবা চালু হয়নি। এনিয়ে আমরা অনেক বার জনপ্রতিনিধিদের বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। সবাই হচ্ছে-হবে বলে যাচ্ছেন। কোনও কিছুই হচ্ছে না।
আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ফারুক হোসেন বলেন, পিএইচই প্রকল্পটি চালু করার জন্য আমরা ওই দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রকল্প চালু হয়ে যাবে বলে তারা জানাচ্ছে, কিন্তু চালু হচ্ছে না। প্রকল্পটি তাডাতাড়ি চালু করার জন্য আমরা সব দিক দিয়েই চেষ্টা করছি। আমরা খুব দ্রুত ওই স্পটে যাব। দেখব কী কী সমস্যা রয়েছে। তারপর কড়া পদক্ষেপ নেব। আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা বিজেপির অনন্ত বারি বলেন, এলাকায় জলের সমস্যা খুব মারাত্মক আকার নিয়েছে। দ্রুত পিএইচই’র প্রকল্পটি চালু করা দরকার। কিন্তু এতবছর পরেও মানুষ জল পায়নি। আমরা এবিষয় নিয়ে একাধিক বার গ্রাম পঞ্চায়েতে বলেছি। এমনকী ব্লক প্রশাসনেও কথা বলেছিলাম। তারা সকলেই আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। পঞ্চায়েতে বলে কিছু হবে না। এবার গ্রামের সকলে মিলে গ্রামবাসীদের নিয়ে পিএইচই দপ্তরে যাব।
এদিকে পিএইচই’র জেলা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ওই সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের সব পরিকাঠামো তৈরিই রয়েছে। কোনও কিছুর খামতি নেই। শুধু ইলেকট্রিক সংযোগ নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা মিটে গেলে পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।