কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, কর্ণজোড়া পুলিস লাইনে সম্প্রতি সাইবার সেল থানা চালু করা হয়েছে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অপরাধীরা নতুন ধরন সাইবার ক্রাইম করছে। বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সংস্থার নামে প্রতারণা করা হয়। রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন জায়গায় এধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। কিছু ঘটনা সংবাদমাধ্যমেও উঠে আসে। উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও এধরনের ঘটনা অনেক ঘটেছে। বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রীর লোভ দেখিয়ে ফোন করেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সময় সাইবার ক্রাইম এক্সপার্টের অভাবে তদন্ত ভালোভাবে করা যায়নি। ফলে ঘটনার কিনারা করাও সম্ভব হয়নি। বিষয়টি মাথায় রেখেই সাইবার ক্রাইম থানা তৈরি করা হয়েছে। তার ফলও মিলছে।
গত জুলাইয়ের শেষে সাইবার ক্রাইম থানার কার্যক্রম শুরু হতেই প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ে। পুরনো অভিযোগগুলিরও নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। তবে মাসখানেক আগে ডালখোলা ও রায়গঞ্জের একই ধরনের দুটি অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। দু’টি ক্ষেত্রেই উপহারের লোভ দেখিয়ে প্রতারকরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারক চক্র গ্রাহকদের টোপ দিয়েছিল, উপহারের জন্য যে টাকা প্রয়োজন সেই টাকাই অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। এই কথা বলে তাঁদের এটিএম কার্ড নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দুটোই জেনে নেয় প্রতারকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই দুই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক থেকে আসা মেসেজে তাঁরা জানতে পারেন অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চলে গিয়েছে। কিন্তু কোনও উপহারের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁরা দ্রুত সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। পুলিস তদন্ত শুরু করে বিভিন্ন ফোন নম্বরের সূত্র ধরে জানতে পারেন ডিজিটাল মাধ্যমে কোনও সংস্থার মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছে। সেই মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তারপরই টাকা ফেরত পান ওই দুই ব্যক্তি। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই ব্যক্তি। একইভাবে বিষয়টি নিয়ে খুশি জেলা পুলিস আগামী দিনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে।