কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিজেপি’র জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি গুণধর দাস বলেন, এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের অপপ্রচার ও আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই দলের কর্মী-সমর্থকদের এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে দ্রুত দলের জেলা নেতৃত্বকে ইতিবাচক কর্মসূচি নিতে হবে। কিন্তু সেই পদক্ষেপ দেখাই যাচ্ছে না।
দলের জেলা কমিটির প্রবীণ সদস্য হেমন্ত রায় বলেন, এনআরসি নিয়ে নিচুতলায় সাধারণ মানুষের নানা অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অথচ সেই অস্বস্তি কাটাতে দলের কোনও উদ্যোগ নেই। এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের অপপ্রচার ও আতঙ্ক ছড়ানোর জবাব দিতে দলের জেলা নেতৃত্বকে এনআরসি নিয়ে দ্রুত পথসভা ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিতে হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, এসব দাবি ঠিক নয়। এনআরসির জন্য কোথাও জয় শ্রীরাম ধ্বনি বন্ধ হচ্ছে না। দলের রংও ফিকে হচ্ছে না। আসলে তৃণমূলের অপপ্রচারের জেরে মানুষ এনআরসি নিয়ে বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত হচ্ছে। তৃণমূলের এই অপপ্রচারের জবাব দিতে এবং এনআরসি কি তার সঠিক তথ্য মানুষকে জানাতে আমরা কয়েক লক্ষ লিফলেট ঘরে ঘরে বিলি করব।
বিজেপির জেলা নেতৃত্ব যতই অস্বীকার করুন এনআরসি নিয়ে জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের নানা প্রশ্নের জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বিজেপির নিচুতলার নেতা কর্মীদের। এনআরসি নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হওয়ায় দলের নেতা কর্মীরা সভা তো দূরের কথা, এলাকাতেই ঢুকতে পারছেন না বলে দলের মধ্যেই দাবি উঠেছে। এই দাবি যে অমূলক নয়, সেকথা কয়েক সপ্তাহ আগে মাদারিহাটে একটি চা-চক্র অনুষ্ঠানে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দলের কর্মী সমর্থকরাই প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। কর্মীরা দিলীপবাবুকে বলেছিলেন যে তাঁরা এনআরসি’র জন্য এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না। লোকসভা ভোটে যেসব এলাকার মানুষ তাঁদের ভোট দিয়েছিল সেসব এলাকার মানুষ এখন তৃণমূলের দিকে ভিড়ছে। ওই চা-চক্রের অনুষ্ঠানে দলের কর্মীদের তোলা এই সব অভিযোগে দৃশ্যতই মেজাজ হারিয়েছিলেন দিলীপবাবু। কর্মীদের ধমকও দিয়েছিলেন তিনি।
মাদারিহাটের চা-চক্র অনুষ্ঠানের আগে রাজাভাতখাওয়াতে এনআরসি আতঙ্কিত স্থানীয় এক গৃহবধূ প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করেন, ‘নথি না থাকায় আমাদের কি হবে? আমাদের কি তাড়িয়ে দেবে?’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি আতঙ্কিত ওই গৃহবধূর প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেছিলেন, ‘আপনি থাকলেই হবে।’
এনআরসি’র জেরে জেলায় দলের যে গুরুত্ব কমছে একথা বিজেপির দলীয় কর্মী-সমর্থকরাই প্রকাশ্যে বলছেন। আর সেই জন্যই ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসেবে পুজোর পরে দলের জেলা নেতৃত্ব ঘরে ঘরে লিফলেট ছড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লিফলেট ছাপানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।