কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি, বিএনএ: বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি পুরসভা প্রচার অভিযান চালালেও শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেনি। এবার শিলিগুড়ির বিশেষ সংশোধনাগারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তিনজন বন্দি। সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তৃণমূল রাস্তায় নামছে। আজ, সোমবার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার মশার বংশ নিধন করতে জেলের কুয়ায় ও আশপাশ এলাকার নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়বেন। একইসঙ্গে শিলিগুড়ি মহকুমায় গাপ্পি মাছ চাষের কেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারে মৎস্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠাবেন রঞ্জনবাবু। পুরকর্তৃপক্ষ অবশ্য ব্যর্থতার অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ডেঙ্গু দমনের কাজ জোরকদমে চলছে। সবমিলিয়ে শহরের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।
পুজোর মধ্যে শহরে ডেঙ্গুর দাপট বাড়ে। এরপর মশা মারতে অভিযানে নামে পুরসভা। তাতেও ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত কমেনি। এবার শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাগরাকোটে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সংশোধনাগারে এক মহিলা বন্দি সহ তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। মাঝমধ্যেই কয়েকজন বন্দি জ্বরে ভুগছে। বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ৪৫৫ জন। মশার উপদ্রব বাড়লেও বন্দিদের জন্য মশারি বরাদ্দ করা হয়নি বলে অভিযোগ। মশারি টাঙানোর ব্যবস্থা জেলের মধ্যে নেই। ফলে যেকোনও মুহূর্তে এখানে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা।
জেল সুপার কৃপাময় নন্দী বলেন, কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত তিনজন বন্দির মধ্যের ডেঙ্গুর উপসর্গ পেয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। তারা সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে মশার উপদ্রব রুখতে স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তেল স্প্রে করা হচ্ছে। ধোঁয়াও দেওয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু রোগীর হদিশ পেয়ে রবিবার বাগরাকোট পরিদর্শন করেন স্থানীয় কাউন্সিলার রঞ্জনবাবু। তিনি জেল চত্বর এবং বাগরাকোটের বিভিন্ন গলিতে গিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করেন। পরে বলেন, ডেঙ্গুর খবর পেয়ে জেলে গিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। মশার লার্ভা নিধন করতে সোমবার জেলের ভেতরে ও বাইরের তিনটি কুয়ায় এবং এলাকার নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়ব।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে গত জানুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০১ জন। চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আক্রান্ত আরও কিছু রোগীর খোঁজ মেলে। এই অবস্থায় পুরসভার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামছে তৃণমূল। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের বোঝানোর পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় সাফাই অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। রঞ্জনবাবু বলেন, শহরে ডেঙ্গুর দাপট বাড়লেও পুরসভা কিছুই করতে পারছে না। নালা পরিষ্কার হচ্ছে না। পুরকর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার জেরেই শহরে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। তাই এবার আমরাই রাস্তায় নামছি। মহকুমায় গাপ্পি মাছ চাষের কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব মৎস্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাব।
পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) সিপিএমের শঙ্কর ঘোষ বলেন, কলকাতা সহ আশপাশে ডেঙ্গু মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু শিলিগুড়িতে গত তিনবছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। এবার এখনও পর্যন্ত এখানে ডেঙ্গুতে কোনও রোগীর মৃত্যুও হয়নি।
পুজোর মধ্যে শহরে ডেঙ্গুর দাপট বাড়ে। এরপর মশা মারতে অভিযানে নামে পুরসভা। তাতেও ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত কমেনি। এবার শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাগরাকোটে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সংশোধনাগারে এক মহিলা বন্দি সহ তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। মাঝমধ্যেই কয়েকজন বন্দি জ্বরে ভুগছে। বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ৪৫৫ জন। মশার উপদ্রব বাড়লেও বন্দিদের জন্য মশারি বরাদ্দ করা হয়নি বলে অভিযোগ। মশারি টাঙানোর ব্যবস্থা জেলের মধ্যে নেই। ফলে যেকোনও মুহূর্তে এখানে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা।
জেল সুপার কৃপাময় নন্দী বলেন, কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত তিনজন বন্দির মধ্যের ডেঙ্গুর উপসর্গ পেয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। তারা সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে মশার উপদ্রব রুখতে স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তেল স্প্রে করা হচ্ছে। ধোঁয়াও দেওয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু রোগীর হদিশ পেয়ে রবিবার বাগরাকোট পরিদর্শন করেন স্থানীয় কাউন্সিলার রঞ্জনবাবু। তিনি জেল চত্বর এবং বাগরাকোটের বিভিন্ন গলিতে গিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করেন। পরে বলেন, ডেঙ্গুর খবর পেয়ে জেলে গিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। মশার লার্ভা নিধন করতে সোমবার জেলের ভেতরে ও বাইরের তিনটি কুয়ায় এবং এলাকার নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়ব।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে গত জানুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০১ জন। চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আক্রান্ত আরও কিছু রোগীর খোঁজ মেলে। এই অবস্থায় পুরসভার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামছে তৃণমূল। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের বোঝানোর পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় সাফাই অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। রঞ্জনবাবু বলেন, শহরে ডেঙ্গুর দাপট বাড়লেও পুরসভা কিছুই করতে পারছে না। নালা পরিষ্কার হচ্ছে না। পুরকর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার জেরেই শহরে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। তাই এবার আমরাই রাস্তায় নামছি। মহকুমায় গাপ্পি মাছ চাষের কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব মৎস্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাব।
পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) সিপিএমের শঙ্কর ঘোষ বলেন, কলকাতা সহ আশপাশে ডেঙ্গু মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু শিলিগুড়িতে গত তিনবছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। এবার এখনও পর্যন্ত এখানে ডেঙ্গুতে কোনও রোগীর মৃত্যুও হয়নি।
