পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়েছে। তবে প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়নি। এখনও নির্বাচনের দিন ঠিক হয়নি। তাই এখনই প্রার্থী নিয়ে ভাবা হয়নি। সংগঠনকে সাজিয়ে মজবুত করার বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। বুথ কমিটিগুলিকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে তৃণমূল ভালো ফল করেছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি পেলেও আমাদের মজবুত সংগঠন রয়েছে। ফলে উপনির্বাচনে আমাদের ফলাফল ভালো হবে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও রায়গঞ্জের প্রাক্তন সংসদ সদস্য দীপা দাশমুন্সির খাসতালুক কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনটি বরাবরই কংগ্রেসের দখলে ছিল। তৃণমূল এখানে উল্লেখযোগ্য ফল করতে পারেনি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারেনি। বিজেপির ভোট উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপনির্বাচনে সেই ধারা অব্যাহত থাকলে আসনটি ধরে রাখা কংগ্রেসের পক্ষে যেমন অসম্ভব হবে তেমনি জয় পাওয়া শাসক দল তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ হবে। এমতাবস্থায় তৃণমূলকে আরও বেশি করে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই প্রয়াত বিধায়কের মেয়ে ধৃতশ্রী রায়কে প্রার্থী করার প্রস্তাব নিয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট করে নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনাও আছে। এদিকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট বৃদ্ধিতে তাদের মনোবল অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হাড্ডাহাড্ডি হড়াই হবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রমথনাথ রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬৮ ভোট পান। তৃণমূল প্রার্থী বসন্ত রায় ৬৬ হাজার ২২৬ ভোট এবং বিজেপির রূপক রায় ২৭ হাজার ২৫২ ভোট পেয়েছিলেন। তবে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কালিয়াগঞ্জ থেকে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৯৫ ভোট, কংগ্রেস ১৮ হাজার ৫৬১ ভোট, তৃণমূল ৬২ হাজার ১৩৩ ভোট এবং সিপিএম ১৯ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছে।
গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে তৃণমূল দ্বিতীয় স্থানে আছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ থেকে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট তৃণমূলের প্রায় দ্বিগুণ। এত ব্যবধানের কারণে আসনটি দখল করা শাসক দলের কাছে চ্যালেঞ্জ হবেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের একাংশ বলছে, লোকসভা নির্বাচনে মোদি হাওয়া ও মেরুকরণ ফ্যাক্টর হয়েছিল। বর্তমানে এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। ফলে লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট ধরে রাখা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে না।