গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হান্নান মোল্লা নামে এক সাধারণ যাত্রী বলেন, নিউ কোচবিহার যাওয়ার জন্য রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ পদাতিক এক্সপ্রেস ধরতে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়াই। কিন্তু সেসময়ে দেখি কাউন্টারে তৎকাল টিকিট এবং সংরক্ষিত কামরার জন্য টিকিট কাটতে যাত্রীদের লম্বা লাইন। এদিকে ট্রেন ১০টা ১৮ নাগাদ স্টেশনে চলে আসে। মাত্র দু’মিনিট এখানে ট্রেন দাঁড়ায়। টিকিট কাটতে না পেরে আমার মতো অনেকেই ট্রেনে চেপে বসেন। এর আগেও আমি এমন সমস্যায় পড়েছিলাম। এখানে আরও একটি কাউন্টার করা দরকার।
জলপাইগুড়ি ট্যুর অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সব্যসাচী রায় বলেন, বর্তমানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের স্টপেজ এই স্টেশনে রয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন হয়নি। একটিমাত্র টিকিট কাউন্টারে তৎকাল, সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত কামরার টিকিট কাটতে গিয়ে পর্যটক সহ সাধারণ যাত্রীদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য ফুটওভার ব্রিজে ওঠার র্যা ম্প নেই। এখানে অনেকেই বেড়াতে আসেন। পর্যটকদের জন্য ট্যুরিস্ট গাইড সেন্টার করা প্রয়োজন। এককথায় স্টেশনের গুরুত্ব বাড়লেও পরিষেবার মানোন্নয়ন হয়নি।
জলপাইগুড়ির এমপি বিজেপির জয়ন্ত রায় বলেন, রোড স্টেশনে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমি এসব নিয়ে দ্রুত রেলকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন্দ চন্দ বলেন, টিকিট বিক্রি বাড়লেই ওই স্টেশনে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেস, তিস্তা-তোর্সা সহ অসম ও কলকাতাগামী বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে স্টপেজ রয়েছে। জলপাইগুড়ি বেড়িয়ে যাঁরা কলকাতায় বাড়ি ফেরেন তাঁদের অনেকেই এই স্টেশন থেকে ট্রেনে চাপেন। আগে কিছু ট্রেনের নিউ জলপাইগুড়িতে শেষ স্টপেজ থাকলেও ওসব ট্রেন এখন নিউ কোচবিহার পর্যন্ত যায়। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ পর্যটক, সরকারি বেসরকারি সংস্থায় কর্মীরা এই স্টেশন থেকে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সংরক্ষিত কামরার টিকিট কাটেন। ট্রেন আসার কিছুক্ষণ আগে অসংরক্ষিত কামরার টিকিট দেওয়া হয়। সেসময়ে সংরক্ষিত কামরার টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের পিছনে দাঁড়াতে হয়। তখন ওই যাত্রীদের স্নায়ুরচাপ বাড়তে থাকে। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে তৎকাল টিকিট যাঁরা কাটতে আসেন তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সংরক্ষিত টিকিট শেষে অসংরক্ষিত বা প্ল্যাটফর্ম টিকিট দেওয়া হয়। ভোর থেকে তৎকাল টিকিটের লাইন পড়ে যায়। সংরক্ষিত টিকিট কাটতেও এখানে ভিড় হয়। সাড়ে ৯টা থেকে সোওয়া ১০টার মধ্যে পদাতিক সহ কয়েকটি ট্রেন স্টেশনে আসে। ফলে অসংরক্ষিত টিকিট কাটতেও সেসময়ে কাউন্টারের সামনে ভিড় হয়। অনেকেই টিকিট না কাটতে পারায় ট্রেনে চাপতে পারেন না।