বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার শিলিগুড়ি আসছেন। তিনি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। চলতি অর্থবর্ষে এই পুরসভা রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকার উপরে পেয়েছে। কিছুদিন আগেই ৪৬টি ওয়ার্ডের জন্য রাজ্য ২১ কোটি টাকা এবং এসজেডিএ’র ১৭ কোটি টাকা পুরসভাকে দিয়েছে। ওই কাজের টেন্ডারও হয়েছে। কিন্তু যিনি পুরসভার দায়িত্বে আছেন তিনি শহরে কম সময় থাকছেন। বাসিন্দারা সুষ্ঠু নাগরিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। অলিগলির রাস্তা ভেঙে বেহাল হয়ে আছে। রাজ্য সরকার এত বরাদ্দ দিলেও বামবোর্ড অসত্য কথা বলছে। শুধু তাই নয়, এত অর্থ সহযোগিতা পাওয়ার পরেও যে ভাষায় মেয়র কথা বলছেন তাতে আমরা মর্মাহত। সামনেই মেয়রের বিদেশ সফর রয়েছে। সেই সফরে যাওয়ার জন্যই ২২ তারিখে বোর্ড মিটিং ডেকেছেন মেয়র। দীপাবলির মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের সময়ে তিনি শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তৃণমূলের কাউন্সিলাররা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে মঙ্গলবার বোর্ড মিটিং বয়কট করা হবে। আর এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে আমরা আগামী দিনের বোর্ড মিটিংয়ে যাব কিনা, সে ব্যাপারে ভবিষ্যতে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।
এই প্রসঙ্গে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ওনাদের মিটিংয়ে আসার অধিকার আছে, বয়কট করারও অধিকার আছে। সাংবিধানিক অধিকারে যদি কেউ হস্তক্ষেপ করে তবে কোনওমতেই তা বরদাস্ত করব না। পুরসভার সমান্তরাল কাজ কেউ করতে পারে না। এর প্রতিবাদ আমি আগে করেছি। আগামী দিনেও করব। প্রয়োজনে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব। রাজ্য সরকার আমাদের দীর্ঘদিন ধরে টাকা দেয় না। সেজন্য ধর্নায় বসেছি, আন্দোলন করেছি, বহুভাবে প্রশ্ন তুলেছি। আমাকে চীন আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেখানে যাচ্ছি, কিন্তু পুরসভার টাকায় যাচ্ছি না। আসলে ওদের কথায় কোনও যুক্তি নেই। ওদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। মিটিংয়ে আসাটাই ওঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে বোর্ড মিটিং হয়। পুর এলাকার বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা করে বোর্ড মিটিংয়ের আগেই মেয়র পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে মেয়র মিটিং করেন। সেখানেই কী কী কাজ পুর এলাকায় হতে পারে তার খসড়া তৈরি করা হয়। তারপর বোর্ড মিটিংয়ে সেসব কাজ সম্পর্কে কাউন্সিলারদের অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। ২২ অক্টোবর বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। ওই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর সফর রয়েছে। এনিয়েই চটেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, মেয়র বিদেশ সফর যাওয়ার আগে কাজ সেরে ফেলার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বোর্ড মিটিং করতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, পুরসভার উন্নয়নে রাজ্য কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দ করছে। কিন্তু মেয়র সারাবছরই রাজ্য তাঁদের বঞ্চনা করছে বলে প্রচার করছেন। নানা ইস্যুতে বিরোধী কাউন্সিলারদের হেয় করায় তৃণমূল সোচ্চার হয়েছে। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই মঙ্গলবারের বোর্ড মিটিংয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলাররা থাকছেন না।