বিএনএ, রায়গঞ্জ: করণদিঘির ব্যবসায়ী সুবেশ দাস(৪২) খুনে সুপারি কিলাররা এখনও অধরাই রয়েছে। কয়েক মাস আগে ওই ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তকে গোয়ালপোখর থানার পুলিস শনিবার গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ হাসিম। ধৃত গোয়ালপোখরের বাসিন্দা। হাসিমকে জেরা করে পুলিস অন্য অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছে। তবে ছিনতাই হওয়া টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। সুপারি কিলাররা ও ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার না হলে কালীপুজোর পর ব্যবসায়ী সংগঠন জেলাজুড়ে ব্যবসা বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার শচীন মক্কর বলেন, কয়েক মাস আগে গোয়ালপোখর থানা এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার না হলেও অন্য অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে ছিনতাইয়ের ওই ঘটনার সঙ্গে খুনের কোনও যোগ পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ী সুবেশবাবু খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী নিসারুল ইসলামকে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেন। পুলিসি তদন্তে উঠে আসে নিসারুল ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকতে না পেরে বিহারের কয়েকজন সুপারি কিলার দিয়ে সুবেশ দাসকে খুনের ছক করে। নবমীর সন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ী দোকানে গেলে দুষ্কৃতীরা কাছে থেকে গুলি করে খুন করে। করণদিঘি থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে পুজোর সময় ভরসন্ধ্যায় ওই খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ চরমে ওঠে। গত ৭ জুলাই ওই ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ছিনতাই হয়েছিল। ওয়েস্ট দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্স ছিনতাইবাজরা খুনের ঘটনায় জড়িত বলে পুলিসের ব্যর্থতা নিয়ে আন্দোলনে নামে। রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জের পর শনিবার কানকিতে প্রতিবাদ ধিক্কার মিছিলে শামিল হন ব্যবসায়ীরা। ওয়েস্ট দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু জানিয়েছেন, কালীপুজোর মধ্যে খুনের কিনারা না হলে ও ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার না হলে জেলাজুড়ে ব্যবসা বন্ধ সহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।