কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার সকালে চণ্ডীতলা থেকে গান্ধী সংকল্প যাত্রার সূচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। দলের জেলা সভাপতি নির্মল দাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ি প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শহরতলি থেকে বিজেপির ওই মিছিল রায়গঞ্জ শহরের দিকে যত এগিয়েছে তত যেন ছন্দপতন হয়েছে। শিলিগুড়ি মোড় পার হওয়ার পর অনেকেই মিছিল থেকে কেটে পড়তে থাকেন। মোহনবাটি বাজার পর্যন্ত হেঁটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজের গাড়িতে উঠে চাপদুয়ারের উদ্দেশে রওনা হন। কর্মীরা পায়ে হেঁটে মিছিল এগিয়ে নিয়ে গেলেও সুভাষগঞ্জ বাজারে গিয়ে মন্ত্রী দাঁড়িয়ে পড়েন। সেখানে একটি পানের দোকানে গিয়ে নিজেই মিঠেপাতা মশলাদেওয়া পান খেয়ে নেন। হাতের নাগালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পেয়ে পান ব্যবসায়ী মোহন সাহা বলেন, দিদি আমাদের এলাকার রাস্তা বেহাল, সন্ধ্যার পর এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। কিছু একটা ব্যবস্থা করুন। দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, দুটো বছর বাদে সব করে দেব। কোনও সমস্যা থাকবে না। এরপর রাজ্যে আমাদের সরকার আসবে। একজন এমপি’র পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়।
সুভাষগঞ্জ ঘোষপাড়ার বাসিন্দা বরুণ ঘোষ, বাপী সরকাররা বলেন, বর্ষা এলে আমাদের নরক যন্ত্রণা হজম করতে হয়। রাস্তায় হাঁটুজল জমে যায়। সুভাষগঞ্জ গার্লস স্কুল রোডের বাসিন্দা বাপ্পা সরকার বলেন, পাড়ায় মেয়েদের স্কুল রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। রাস্তারও বেহাল অবস্থা, একটু এলাকাটা দেখবেন। মন্ত্রী তখন দলীয় এক কর্মীর মোটর বাইকে চেপে বসে গার্লস স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে গিয়ে কোথায় হাইমাস্ট আলো বসানো যেতে পারে সেনিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন। সুভাষগঞ্জ গার্লস স্কুলের মাঠ থেকে এরপর মোটর বাইকে চেপে ফের বাজারে আসেন। ততক্ষণে মিছিল সেখানে এসে পৌঁছয়। এরপর কিছুদূর নিজের গাড়িতে যাওয়ার পর ফের গাড়ি থেকে নেমে মোটর বাইকে চেপে চাপদুয়ারের দিকে এগিয়ে যান। সভাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে মন্ত্রী মোটর বাইক থেকে নেমে ফের মিছিল আসার জন্য অপেক্ষা করেন। মিছিল সেখানে আসতেই পায়ে হেঁটে চাপদুয়ারের সভাস্থলে যান। সেখানে সভা শুরুর আগে পাঁচ জন মহিলা ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। মিছিল মাঠে যেতেই প্রায় ১০০ মানুষের সভায় মন্ত্রীকে বক্তব্য রাখতে হয়।
উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জে এসেও স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গান্ধী সংকল্প যাত্রায় লোক জমায়েত না হওয়ায় দলের অভ্যন্তরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও দলের জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টেয় সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা ২টোয় সভা করায় অনেকেই আসতে পারেননি।