বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিনহাটার করলা-২ সাবেক ছিট এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বেশ কিছু পরিবারের বসবাস। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন কাঁটাতারের এদিকে আসার জন্য বিএসএফের অনুমতি নিতে হয়। ফিরে যেতে গেলেও একই নিয়ম। এদিন করলা-২ এলাকার বাসিন্দাদের এপারে ডাকা হয়। এপারেই তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা সর্ম্পকে খোঁজখবর নেন অর্পণা সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
অর্পণা সেন বলেন, ভারতীয় হিসাবে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে যে কোনও জায়গায় যাওয়ার আমাদের অধিকার রয়েছে। এদিন কেন আটকে দেওয়া হল, আমরা তা বুঝতে পারিনি। আমি কোনও দলের হয়ে বা দলের বিরুদ্ধে বলছি না। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন, ভারতীয় হলে ওঁরা কেন এভাবে থাকবেন?
বিএসএফের কোচবিহার সেক্টরের ডিআইজি ভি কে সিং বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও খবর ছিল না। যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের ওখানে যাওয়ার কোনও কারণও আমরা জানি না। জানানো হলে সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে যেতেই পারেন।
এদিন অপর্ণারা ওই এলাকায় পৌঁছনোর পর সাবেক ছিটমহলে ঢুকে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানান। কিন্তু বিএসএফের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর ছিটমহলের বাসিন্দাদের কাঁটাতারের বেড়ার এপারে এসে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, করলা-২ সাবেক ছিটমহলে বিদ্যুৎ নেই। পরিশ্রুত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। রাস্তা নেই। এখানকার শিশুরা স্কুলে গিয়ে দুপুরে ফিরে আসলেও বিকালে গেট না খোলা পর্যন্ত গেটের বাইরেই বসে থাকতে হয়। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁধে করে কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত নিয়ে আসতে হয়। তারপর গাড়ি আসলে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তাঁদের নানা সমস্যার মধ্যে দিন কাটাতে হয়।