বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে রেশন ব্যবস্থায় যাতে কোনও অনিয়ম না থাকে সেদিক নজর দিয়ে আমরা শীঘ্রই আচমকা পরিদর্শন শুরু করছি। লাগাতার এই অভিযান চালানো হবে। কোনও প্রকার খামতি পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি মিহির দাস বলেন, আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রেশন নিয়ে সেভাবে অভিযোগ নেই বললেই চলে। সুষ্টুভাবে রেশন দোকান মালিকরা গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে থাকেন। প্রশাসনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
জেলায় প্রায় ৩০০টি রেশন দোকান রয়েছে। মাঝেমধ্যে রেশন দোকানে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একাধিক দোকানে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গ্রাহকরা তালা বন্ধ করে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। খাদ্যদপ্তরের তরফে পরিদর্শন না করার কারণে রেশন দোকানের মালিকরা গ্রাহকদের প্রতারণা করে থাকেন। অভিযোগ, দপ্তরের অধিকাংশ কর্মীর সঙ্গে রেশন দোকানের মালিকদের যোগসাজশ রয়েছে। যেকারণে দপ্তরের কর্মীরা রেশন দোকানে পরিদর্শনে যান না। সেই সুযোগে জেলার রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম ক্রমশ বেড়ে চলছে। গ্রাহকদের জন্য সামগ্রী বরাদ্দ করা হলেও রেশন দোকান মালিকরা টালবাহানা করে সামগ্রী বরাদ্দ হয়নি বলে দাবি করে গ্রাহকদের অনেক সময় ফিরিয়ে দেন। আদতে সেই সামগ্রী গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে এমনটা খাতায় লেখা থাকলেও গ্রাহকরা সেই সামগ্রী পান না। পুরো সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। মূলত চাল, আটা, কেরোসিন এই তিন সামগ্রী মাঝেমধ্যে রেশন দোকানে পাওয়া যায় না। যদিও খাদ্যদপ্তরের তরফে দাবি, সামগ্রী না থাকলেও পরের সপ্তাহ সেই সামগ্রী গ্রাহকদের দিতে হবে। তবে অধিকাংশ রেশন ডিলার সেই নিয়ম মানেন না। স্বাভাবিক ভাবে রাজ্য খাদ্যদপ্তরের নির্দেশে রেশন ব্যবস্থার পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মতে জেলাজুড়ে দপ্তরের তরফে অভিযান শুরু হতে চলেছে।