কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, বেআইনি মদ এবং জুয়ার আসর চলতে দেওয়া যাবে না। কালীপুজোকে কেন্দ্র করে ওই দুই বেআইনি কারবার বৃদ্ধি পায়। আমরা এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছি। ঠেক বসানোর খবর পাওয়া মাত্র অভিযান চালানো হবে। অভিযানকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিস কর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব কালীপুজো। বাঙালির পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দারাও আলোর উৎসব দীপাবলিতে মেতে ওঠে। রাজ্যের প্রতিটি শহর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। কালীপুজো রাতে হয়। সারা রাত মানুষ জেগে থাকে। কালীপুজোর রাতে বেআইনি মদ ও জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়া ও সমাজবিরোধীরা ওই আসর নিয়ন্ত্রণ করে। জুয়াড়ি ও মদ্যপরা সেখানে স্ফুর্তি করে। জুয়ার বোর্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা ওড়ে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে যায়। কেউ কেউ টাকার পাশাপাশি আংটি, গলার চেন সহ এমনকী বাইকও বাজিতে হেরে বসে। জুয়া খেলে বড়লোক হওয়ার নজির কার্যত নেই বললেই চলে। জুয়ায় টাকা জিতলেও বেশি পাওয়ার নেশা চেপে বসে। তাতেই শেষে প্রত্যেকে সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে। জুয়ায় টাকা হারানোর শোক ভুলতে অনেকে মদ খায়।
রাতভর সরকার অনুমোদিত মদের দোকান খোলা থাকে না। কিন্তু সারারাতই মদ কেনাবেচা চলে। তারজন্য বেআইনি মদের কারবার জমে ওঠে। বেআইনিভাবে মদের কারবার চালিয়ে অনেকে ফুলেফেঁপে ওঠে। পাশাপাশি ওই কারবার নিয়ে গণ্ডগোল হয়। মদ্যপরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। জুয়ার ঠেকেও বচসাকে কেন্দ্র করে হাতিহাতির ঘটনা ঘটে। বোর্ডের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে জুয়ড়িদের বিবাদ থানা পর্যন্ত গড়ায়। ফলে বিষয়টি এবার কড়া হাতে পুলিস মোকাবিলা করতে চাইছে। উল্লেখ্য, জুয়ার ঠেকে অভিযান এবং ধৃত ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহ আগে মিল্কি ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। জুয়াড়ি এবং মদ্যপদের একাংশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালায়। দুষ্কৃতীরা ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফাঁড়ির সমস্ত রেকর্ড পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, মিল্কির ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহরে সারাবছরই বেআইনিভাবে মদ বিক্রি হয়। পানের গুমটি, মুদিখানা দোকান প্রভৃতি থেকে মদ বেচাকেনা হয়। কালীপুজোর সময় বেআইনি মদ ও জুয়ার আসর বসে। ওইসব ঠেকে অভিযান চালানোর সময় পর্যাপ্ত পুলিস বাহিনী থাকবে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কারও শারীরিক সমস্যা হলে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে কাউকে রেয়াত করা হবে না।