পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুভাষবাবুর হাটাচলা করার শক্তি, নিজে হাতে কিছু করার শক্তি পর্যন্ত লোপ পেয়েছে। তাঁর স্ত্রী সুভরাণী হাজরা বলেন, স্বামী একসময় বাঁশের জিনিসপত্র তৈরি করে সংসার চালাত। বাড়িতে দুই ছোট ছেলে রয়েছে। এছাড়া দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে তার স্ট্রোক হয়। তাতে সে কর্মক্ষমতা হারায়। সংসার চালাতে ছেলেরাও পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। অভাবের সংসারে এক মুঠো অন্ন জোগার করায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসার টাকা আসবে কোথা থেকে?
ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান বলেন, স্ট্রোকের ফলে সুভাষ হাজরার ডানদিকের মাংসপেশীগুলিতে কোনও সাড় নেই। দু’মাস আগে তাঁর ডান পায়ে কোনওভাবে একটি কাঠি ঢুকে যায়। দিনের পর দিন ওই কাঠি পায়ের মধ্যে থেকে সেপটিক হয়ে যায়। পা থেকে সেই কাঠি বের করে দেওয়ার পরেও সেই ক্ষতস্থান না শুকিয়ে পা ফুলতে থাকে। স্থানীয় আশা কর্মীদের সহযোগিতায় তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে তাঁর পরিবার অর্থের অভাবে বাড়ি চলে আসে। আর তাঁর চিকিৎসা হয়নি। বর্তমানে তাঁর পায়ে ওই ক্ষতস্থান থেকে গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছে। আমরা ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাঁকে শিলিগুড়ি পাঠাব যাতে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ও সরকারিভাবে এই পরিবারকে সাহায্য করব। আমি চাই তিনি দ্রুত ভালো হয়ে উঠুন।