কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো ওই চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, প্রাক্তন জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী, বর্তমান যুগ্ম পর্যবেক্ষক সাধন পাণ্ডে ও গোলাম রাব্বানি সহ জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর ও জেলায় দলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছেও।
ওই অভিযোগ পত্রে ৩৮জন স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন কালিয়াচক-২ ব্লক থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এমনকি কালিয়াচক-২ ব্লকের দলীয় সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামও।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের পুরনো নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার বদলে প্রাক্তন দলের সদস্যদের হাতেই তৃণমূলের নেতৃত্ব তুলে দিতে চাইছেন সাবিনা। নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিধায়ককে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু যেভাবে তিনি দল চালাচ্ছেন তাতে এই এলাকায় তৃণমূলের চরম ক্ষতি হচ্ছে। দলের সর্বনাশের এই দায়িত্ব বিধায়ককেই নিতে হবে। ব্লক আহ্বায়ক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধায়কের মনোনীত ব্যক্তিকে কেউই মেনে নেবেন না। যেভাবে প্রতিদিন বিধায়ক-বিরোধী মানসিকতা দলের মধ্যেই তীব্র হচ্ছে, তাতে অনেকেই প্রয়োজনে দল ছেড়ে নিজেদের নির্দল ঘোষণা করতে পারেন বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
উল্লেখ্য, সাবিনা ইয়াসমিন ২০১৬ সালে মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী নজরুল ইসলামকে। পরে সাবিনা তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর সঙ্গে নজরুলের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলতেই থাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে নিজেদের অভাব অভিযোগ মিডিয়ার কাছে তুলে না ধরে দলের মধ্যেই বলতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ এখনও দলের নিজস্ব বিষয় যেভাবে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানাচ্ছেন তা দুর্ভাগ্যজনক।
তবে সাবিনা মন্তব্য করতে না চাইলেও নাম উহ্য রেখে বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করেছেন সাবিনা’র বেশ কয়েকজন অনুগামী। তাঁদের দাবি, বেশিরভাগ স্বাক্ষরকারীকেই ভুল বুঝিয়ে সই করানো হয়েছে সাদা কাগজে। স্বাক্ষরকারীদের অনেকেই ইতিমধ্যে বিধায়ককে ফোন করে জানিয়েছেন তাঁরা এসবের মধ্যে নেই।
পুরো বিষয়টিতে যে দল খানিকটা অস্বস্তিতে রয়েছে তা জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। জেলা সভানেত্রী মৌসম বলেন, এই ধরণের কোনও চিঠি এখনও জেলা কার্যালয়ে এসে পৌঁছয়নি। তবে ওখানে কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে বলে খবর এসেছে। ২০ অক্টোবর বিধায়ক সহ দুই পক্ষকে নিয়েই একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজার পরেই মালদহে দল পরিচালনা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ্যেই উগরে দিয়েছিলেন মালদহের প্রবীণ তৃণমূল নেতা দুলালবাবু।