রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস সুপার বলেন, মুর্শিদাবাদে ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার চেষ্টা চলছে। সীমান্তে কী ঘটেছিল তা জানতে ওই জেলার পুলিস সুপারের সঙ্গে আমি কথা বলব। পাশাপাশি বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে জেলার কোনও বাসিন্দাকে নিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি এলাকায় পদ্মানদীতে মাছ ধরা নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে জেলেদের বিবাদকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়। ওই ঘটনায় বিজিবি’র জওয়ানরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী জেলার ওই ঘটনার প্রভাব মালদহেও পড়েছে। শুক্রবার দিনভর বিষয়টি নিয়ে এজেলায় চর্চা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। তার মধ্যে আবার ৩০ কিলোমিটার এলাকা জল সীমান্ত। বাকিটা স্থল সীমান্ত। এই জেলার বৈষ্ণবনগর সীমান্ত জাল নোট, মাদক এবং গোরু পাচারের জন্য কুখ্যাত। সেখানে বিএসএফের হাতে পাচারকারীদের ধরা পড়ার মতো ঘটনা অথবা বিএসএফ-পাচারকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও মাঝে মাঝেই ঘটে। পাচারকারীদের সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলির লড়াই লেগেই থাকে। বিএসএফের গুলিতে অনেকের মৃত্যুও হয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে মাঝেমধ্যেই মালদহ সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকার নদনদীতে এদেশের অনেক বসিন্দাই মাছ ধরেন। নদীর মাঝে গিয়ে জেলেরা অনেক সময় সীমানা গুলিয়েও ফেলেন। জলসীমান্তে কোনও কাঁটাতার না থাকায় তাঁরা ভুলবশত বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করে ফেলেন। সেসব ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে বর্তমানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এই অবস্থায় মালদহে যাতে একই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে জেলা পুলিস সজাগ রয়েছে।