কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মহকুমা শাসক ঈশা মুখোপাধ্যায় বলেন, কাজে ফাঁকি রুখতে ও সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরো শহরের কোথায় কী কাজ হচ্ছে তা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই নজরদারি চালাচ্ছি। কোনও এলাকায় সাফাই অভিযানের কাজ হলে কর্মীদের আগের ছবি ও সাফাইয়ের পরে ছবি তুলে আমাকে পাঠাতে হবে। এজন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হয়েছে। সেখানে কর্মীরা পুরো নির্দেশ পালন করে কাজ করছেন।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজেন শীল বলেন, আমাদের বোর্ড থাকার সময় কাউন্সিলারা সব কিছু দেখতেন। এতে সঠিকভাবে সাফাই অভিযান চলত। এখন বোর্ড না থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে নজরদারি নিয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা খুবই ভালো। পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেত্রী আরএসপি’র সুচেতা বিশ্বাস বলেন, শহরের যে অবস্থা তাতে বাসিন্দাদের পথ চলা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পুরসভার এত কর্মী থাকা সত্ত্বেও কেন কাজ হচ্ছে না আমরা বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া উচিত।
বালুরঘাট পুরসভার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে একঘণ্টার বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যায়। এতে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে। এত সাফাই কর্মী থাকা সত্ত্বেও কেন সঠিক ভাবে সাফাই অভিযান হয় না তা নিয়ে একাধিকবার শহরবাসীকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বেগে পড়তে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে। বাধ্য হয়ে সাফাই কাজে জোর দিতে ময়দানে নামতে হয় পুরসভাকে। জোরকদমে শহরের ড্রেন ও আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ পরিচালনার উদ্যোগ নেয় পুরসভা। তবে সেই কাজ কতটা সঠিকভাবে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে পুর কর্তৃপক্ষ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছে। সেখানে সাফাইয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের রাখা হয়েছে। কোনও স্থানে নোংরা থাকলে সেই ছবি আগে সেই গ্রুপে দেওয়ার পরে সাফাই কাজ শেষ হলে সেই স্থানের ছবি তুলে দিতে হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, এমনটা করার মূল কারণ সঠিক ভাবে কাজে নজরদারি ও কর্মীদের ফাঁকিবাজি বন্ধ করা।