দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আগামী ২১ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী আসবেন। ওই দিন বিজয়া সম্মিলনী করার পর ২২ তারিখ তিনি প্রশাসনিক মিটিং করবেন। তাতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।
লোকসভা ভোটের প্রচারে শিলিগুড়ি সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ মাটি চষে বেড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তিনি উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রাখেননি। দীর্ঘদিন পর তিনি আবার শিলিগুড়িতে আসছেন। তাঁর এই সফর নিয়ে শিলিগুড়ির প্রশাসন ও পুলিস তৎপর হয়ে উঠেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২১ অক্টোবর শিলিগুড়ি শহরের মাল্লাগুড়ির পুলিস লাইনের মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেট ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এজন্য পুলিস লাইন ময়দানে প্রায় ৪০ ফুট লম্বা ও ২৪ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। মাটি থেকে মঞ্চের উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট হবে। বাঁশ, কাঠ, লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চ। তাতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ৫০-৬০ জন অতিথির বসার ব্যবস্থা থাকবে। মঞ্চের দু’পাশে থাকবে দু’টি সিঁড়ি। একটি সিঁড়ি থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট। মঞ্চের সামনে ৫০ মিটার এলাকা ‘ডি’ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে সংশ্লিষ্ট জোনে কোনও চেয়ার পাতা থাকবে না। এরপর প্রায় ২৫০ মিটার এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে।
শুক্রবার পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা ছাড়াও জেলা প্রশাসন ও পুলিসের অফিসাররা দফায় দফায় মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি মাঠের ঘাস কাটা হয়। আশপাশ এলাকার জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়। পুলিস লাইনের সীমানা প্রচীর সহ পুলিস কমিশনারেটের প্রতিটি অফিসের দেওয়ালে, গ্রিলে পড়েছে নীল ও সাদা রঙের পোঁচ। বিভিন্ন গাছের গোড়াতেও নীল-সাদা রং করা হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, বুধবার থেকে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। কাল, রবিবার এই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এজন্য ৩৫-৪০ জন লেবার কাজ করছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে রাত্রিবাস করবেন। পরের দিন ২২ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের সচিবালয় উত্তরকন্যায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন। ওই প্রশাসনিক বৈঠকে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, সমব্যথী, ঐক্যশ্রী, জমির পাট্টা প্রদান সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন। পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং বনদপ্তরের হালহকিত নিয়ে সেখানে আলোচনা হতে পারে। তাই শিলিগুড়ি মহকুমা সহ দার্জিলিং জেলা প্রশাসন এখন চরম ব্যস্ত। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করে রিপোর্ট প্রস্তুত করছে।