কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, রেশন পরিষেবা ঠিকঠাক চলছে কিনা এই নিয়ে আমরা স্পেশাল অভিযান করেছিলাম। সমস্ত রেশন দোকানে আধিকারিকদের পাঠিয়ে রেশন ব্যবস্থার মান খতিয়ে দেখা হয়েছে। বেশকিছু দোকানে অসঙ্গতিও মিলেছে। তাদের আমরা শোকজ করে সেসব অসঙ্গতির কারণ জানতে চাইব। তারপর বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলার খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশে ‘স্পেশাল ইনস্পেকশন’ হিসাবে এদিন অভিযান চালানো হয়েছে। জেলাজুড়ে প্রায় ৭৫০ রেশন দোকানে একই সময়ে এই অভিযান হয়। শতাধিক আধিকারিক সেই অভিযানে শামিল হন। রেশন পরিষেবা ঠিকঠাক মিলছে কিনা, রেশন দোকানের খাতা সুষ্ঠুভাবে চালু রাখা হচ্ছে কিনা— সেই বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হয়েছে।
সদর মহকুমা খাদ্য নিয়ামক প্রণব দে বলেন, স্পেশাল ইন্সপেকশনে বেশ কিছু রেশন দোকানে নানা গরমিল উঠে আসতে পারে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে তা জানা যাবে। এধরনের অভিযান হওয়া ভালো। কারণ তাহলে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। এদিনের অভিযানের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী অ্যাকশন নেওয়া হবে।
হবিবপুর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা বলেন, ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৫টি রেশন দোকানে পরিদর্শন হয়েছে। বেশ কিছু দোকান দেরিতে খোলার অভিযোগ মিলেছে। সবকিছু নিয়ে আমরা একটা রিপোর্ট বানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠাব।
জেলার এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অসিতকুমার সাহা বলেন, একই দিনে জেলাজুড়ে রেশন দোকানগুলিতে পরিদর্শন এই প্রথম হল। বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কারণ এতে ডিলারদের মধ্যে স্বচ্ছতা আসবে। কোথায় কী ভুল-ত্রুটি হয়েছে, সেই রিপোর্ট আমার কাছে এখনও নেই। প্রশাসনিক গাইডলাইন মেনে রেশন দোকান চালানো প্রয়োজন, সেকথা ডিলারদের বলা হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলার দু’টি পুর এলাকা সহ ১৫টি ব্লকের রেশন দোকানগুলিতে ওই স্পেশাল ইন্সপেকশন হয়। তাতে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, এসডিও, খাদ্য আধিকারিক, বিডিও সহ শতাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। ডিলারদের কাছে অভিযানের আগাম কোনও খবর ছিল না। তাই এদিন বেশ কিছু গরমিলও ধরা পড়ে। সেসব নিয়ে আধিকারিকরা রিপোর্ট তৈরি করছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহের মুচিয়ার একটি রেশন দোকানে গমের মান খারাপ থাকার বিষয়টি জেলাশাসক নোট করেছেন। এছাড়াও ওই দোকানে পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। আইহোর আরেকটি ডিলার পয়েন্টে কেরোসিন তেল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। গাজোলের একটি রেশন পয়েন্ট খোলার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বন্ধ ছিল। হবিবপুরের একাধিক রেশন দোকানও নির্ধারিত সময়ে খোলা হয়নি। জেলাজুড়ে প্রায় সর্বত্রই রেশন দোকানে ঠিকমতো খাতা চালু রাখা হয়নি।