বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ১৯ অক্টবর থেকে ২৪ অক্টবর পর্যন্ত জেলার পুরসভা এলাকায় ওয়ার্ড কমিটি এবং পঞ্চায়েত এলাকায় আঞ্চল কমিটিগুলিকে নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করা হবে। রাজ্য থেকেই এই নির্দেশ এসেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সকলকে নিয়ে মিষ্টিমুখ করা হবে। এতে জনসংযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, পুজোর সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এখন আবার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুক্রবার হেমতাবাদ ব্লকে সংকল্প যাত্রা চলছে। শনিবার রায়গঞ্জ ব্লকে হবে। এভাবে গোটা জেলাতেই চলছে। সেই সঙ্গে সাংগঠনিক নির্বাচনে মণ্ডল কমিটিগুলির নির্বাচন শুরু হয়েছে।
সিটুর জেলা সম্পাদক স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন, পুজোর আগেই সিটুর উত্তর দিনাজপুর সপ্তম জেলা সম্মেলন চোপড়াতে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেসময় তা স্থগিত করা হয়। এখন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০-২১ অক্টোবর চোপড়া গার্লস স্কুলে সম্মেলন হবে। কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, পুজোর সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এখনও জেলা থেকে বিশেষ কিছু নির্দেশ আসেনি। তবে আমরা বিভিন্ন বুথের কমিটিগুলিকে নিয়ে মিটিং করছি।
রাজনৈতিক মহল বলছে, পুজোর দিনগুলিতে রাজনৈতিক দলগুলি রাজনৈতিক কর্মসূচি না নিলেও নেতারা বিভিন্নভাবে জনসংযোগ চালিয়ে গিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই বিজেপির ভোট উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তৃণমূল নেত্রী জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে দিদিকে বলো কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। গোটা রাজ্যে এই কর্মসূচি চলছে। পুজো শেষ হতেই এলাকার বিভিন্ন জাতি ধর্মের মানুষদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে কানাইয়াবাবু দলীয় নেতা-কর্মীদের বলেছেন লোকসভা নির্বাচনে কী হয়েছে, কে ভোট দিয়েছেন বা দেননি এসব ভুলে সকলকে কাছে টেনে নিতে হবে। সকলকে নিয়ে বিজয়া করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভোটাররা ভুল করেন না, আমরাই তাঁদের কাছে টানতে ব্যর্থ হয়েছিলম। কার্যত জনসংযোগের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।