পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার কোম্পানির উত্তরবঙ্গের জোনাল ম্যানেজার শিবেশকুমার দেব বলেন, এবার পুজোয় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় কিছু পুজো কমিটির কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে সকলের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। কালীপুজোতেও পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গাপুজোয় আলোকসজ্জায় মেতেছিল উত্তরবঙ্গের পুজো কমিটিগুলি। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুসারে পুজোর আগেই কমিটিগুলির কাছ থেকে বিদ্যুতের চাহিদার পরিমাণ জানা হয়। তাদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানিও জমা নেওয়া হয়েছিল। এই অবস্থায় পুজোর চারদিন কমিটিগুলি ঘোষণা মতো বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে কি না সেব্যাপারে বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করা হয়। সেই কমিটিগুলির রিপোর্ট অনুসারে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন তা আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কোম্পানির এক আধিকারিক বলেন, জরিমানা আদায় করতে শীঘ্রই পুজো কমিটিগুলির কাছে নোটিস পাঠানো হবে। তা না দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কয়েকটি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ মেলে। তাও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি জরিমানার পরিমাণ ও অভিযুক্ত পুজো কমিটির তালিকা প্রস্তুত করেছে। কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোম্পানির উত্তরবঙ্গের জোনাল অফিসের অধীনে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই সাতটি জেলা রয়েছে। এবার পুজোতে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে মোট ৬১২৫টি পুজো কমিটিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। বিদ্যুতের মাশুল ধরা হয় প্রতি কেভিএ প্রায় ২০০ টাকা করে। সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলির কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি বাবদ জমা নেওয়া হয় ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৩৩ টাকা। এবার পুজোর চারদিন পরিদর্শন করা হয় ৩৫১৫টি পুজো কমিটি। যার মধ্যে ৮৭৪টি পুজো কমিটি চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ৩৪৪২ কেভিএ। যার মূল্য ১৮ লক্ষ ৯৯৭ টাকা। অভিযুক্ত পুজো কমিটিগুলির কাছ থেকে জরিমানা বাবদ তা আদায় করা হবে। যে সব পুজো কমিটি চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ খরচ করেছে তারা টাকা ফেরত পাবে। এজন্য তাদেরকে নির্দিষ্ট আবেদনপত্রে আবেদন করবে হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুজোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং পুজো কমিটিগুলিতে অভিযান চালাতে উত্তরবঙ্গে ১০০টির মতো দল গঠন করা হয়েছিল। প্রতি দলে একজন করে ইঞ্জিনিয়ার সহ চারজন কর্মী ছিলেন। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতেই এমন দলের সংখ্যা ছিল ২৫টি। পুজোর চারদিন দলগুলি বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে টহল দেয়। কালীপুজোতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।