রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব ঘোষ (ভূমি) বলেন, জমির যাবতীয় কাজ অনলাইনে হচ্ছে। যদিও জমির কাগজ নিতে এখন দপ্তরে ভিড় হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দিন এই রাজ্যে এনআরসি লাগু হতে দেবেন না। মানুষের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমাদের দলের তরফে এলাকায় গিয়ে মানুষকে এনআরসি নিয়ে বোঝানো হচ্ছে যাতে অযথা কেউ আতঙ্কিত না হন। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, এনআরসি নিয়ে মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্ত জেলা। এই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকে ৭১ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে এসে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন। কৃষিপ্রধান শিল্পবিহীন এই জেলার অনেকে কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়ে থাকেন। অনেকে সারাবছর ভিনরাজ্যে থাকলেও পুজোর ছুটিতে পরিবারের টানে বাড়ি আসেন। এরই মধ্যে এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হতেই ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুজোর ছুটিতে এসে আনন্দ ভুলে গিয়ে কাগজপত্র জোগাড় করতেই তাঁরা বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকের ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে এনআরসি আতঙ্কে জমির পর্চা, স্কুল সার্টিফিকেট, বাবা মার জন্মের প্রমাণ কীভাবে কোথা থেকে জোগাড় করতে হবে তা নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন। ছুটি শেষ হলেও নতুন করে কাজে যোগদান না দিয়ে দিনভর দপ্তরে দপ্তরে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। কেউ আবার রাজনৈতিক নেতাদের স্মরণাপন্ন হয়ে কীভাবে কাগজ জোগাড় করতে হবে তা শুনছেন। এনআরসি আতঙ্ক যেন ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের কাছে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের দাবি, ভিনরাজ্য থেকে বারবার টাকা খরচ করে এসে কাগজ জোগাড় করা সম্ভব নয়। যে কারণে এখন ছুটিতে এসে একটু বাড়তি সময় থেকে যদি কাগজপত্র জোগাড় করে রাখা যায় সেটাই ভালো। তাই অনেকেই মনস্থির করেছেন সমস্ত কাজ শেষ করে একেবারে কাজে যোগদান দেবেন।