দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যদপ্তর জোরকদমে জেলাজুড়ে প্রচার শুরু করেছে। প্রচারের পাশাপাশি মশা দমনে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে বালুরঘাট শহরে নিয়মিত ড্রেন ও আবর্জনা পরিষ্কার না করার কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে বলে শহরবাসীর অভিযোগ। যদিও ডেঙ্গু আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী ভিনরাজ্য থেকে ডেঙ্গু নিয়ে জেলায় এসেছে। ভিনরাজ্য থেকে আসা কোনও রোগী জ্বরে আক্রান্ত হলেই স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরও একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে জোরকদমে আমরা প্রচার চালাচ্ছি। প্রচারের পাশাপাশি ডেঙ্গুর মশা দমনে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। জেলায় মৃত্যুর কোনও ঘটনা নেই। অধিকাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভিনরাজ্য থেকে আক্রান্ত হয়ে জেলায় এসেছে। বালুরঘাটের মহকুমা শাসক ঈশা মুখোপাধ্যায় বলেন, নিয়মিত ড্রেন ও আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। পুজোর ক’দিন বন্ধ ছিল। এখন আবার জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ায় বালুরঘাট ব্লকের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শহরের চেয়ে গ্রামেগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের তরফে জঞ্জাল, জমা জল পরিষ্কার না করায় এমনটা হচ্ছে। বালুরঘাট হাসপাতালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকশো রোগী ভর্তি রয়েছেন। তারমধ্যে ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। জ্বর নিয়ে রোগীদের ভিড়ে হাসপাতালে ভয়ানক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এক বেডে দুই জন করে থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে ডেঙ্গুর রোগীদের সঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রাখা হচ্ছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঠাঁই নেই অবস্থা। যদিও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বেড ফাঁকা থাকলেও সেখানে রেফার করা হচ্ছে না। যেকারণে বেডের সংখ্যা কম থাকায় রোগীদের ছোট বেডে দুই জন করে চরম সমস্যার মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, বহিবির্ভাগের রোগীদের লম্বা লাইন রোগীদের লক্ষ করা গিয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ায় মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা দূর করে ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু মশার হাত থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা বোঝানো হচ্ছে বাসিন্দাদের। আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাতে এলাকায় পরিষ্কার পরিছন্ন রাখে তা নিয়ে প্রচার চলছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমা জল ফেলে দেওয়া, কোথাও যাতে জল জমে না থাকে সেবিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর তরফে শুধুমাত্র প্রচার করা হচ্ছে বলেও জেলাবাসীর অভিযোগ। মশা দমনে ব্লিচিং পাউডার, মশা মারার কামান, জঞ্জাল পরিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছে না। বালুরঘাট শহরের পাশাপাশি ব্লক ও জেলাজুড়ে সন্ধ্যা হলেই মশার অত্যাচারে নাজেহাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। শহরের একাধিক ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। জল জমে থাকলেও সেগুলি সংস্কারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে মশার উপদ্রব বেড়ে চললেও কার্যত নিশ্চুপ প্রশাসন।