গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন পুন্ডিবাড়ি, পাতলাখাওয়া ও মধুপুরে শাসক দলের পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি বোমা ও গুলি ছোঁড়া হয় বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ। যদিও বিজেপি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, বিজেপির বদনাম করতে তৃণমূলই এসব কারসাজি করছে। কিন্তু গান্ধী সংকল্প যাত্রার মাঝে এই ধরণের পার্টি অফিস ভাঙচুর, মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় বিজেপি কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে। খবর পেয়ে রাতেই পুন্ডিবাড়ি পার্টি অফিসে যান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। পুলিস জানিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিনয়বাবু বলেন, এদিন পুন্ডিবাড়ি ও পাতলাখাওয়ায় পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসে বোমা ছুঁড়েছে। পাতলাখাওয়াতে আমাদের কর্মী পার্টি অফিস ভাঙচুরে বাধা দিতে গেলে তাঁকে পেটানো হয়েছে। তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও বলেন, তিন জায়গায় আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। পাতলাখাওয়ায় আমাদের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। ওদের লাঠির আঘাতে ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি ও পার্টি অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমা ফাটানো হয়েছে। পুলিসকে জানিয়েছি। রাজ্য নেতৃত্বকেও সব কিছু জানানো হয়েছে।
মৃতের দাদা আনোয়ার হাসেন বলেন, এদিন সংকল্প যাত্রার মিছিল আসার আগে সকলে শ্যুটিং ক্যাম্প এলাকাতে ছিল। সেই সময় পুন্ডিবাড়ির দিক থেকে পঞ্চাশ-ষাট জনের একটি বাইক বাহিনী সেখানে আসে। তারা গুলি চালালে আমার ভাই সেখান থেকে পালাতে যায়। সেই সময়ে সে পড়ে যায়। এরপর তাঁকে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, আমাদের বদনাম করার জন্য তৃণমূল নিজেরাই এসব করছে। এসবের সঙ্গে আমাদের কোনও সর্ম্পক নেই। ওই এলাকায় আমাদের লোকজন দেখে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। সেই সময় তাঁর মৃত্যু হয়। সব মৃত্যুই দুঃখজনক। ওরা এটা নিয়ে রাজনীতি করছে।
এই বিষয়ে জানার জন্য এদিন জেলার পুলিস সুপার সন্তোষ নিম্বালকরকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বুধবার থেকেই কোচবিহারে বিজেপি তাদের গান্ধী সংকল্প যাত্রা শুরু করেছে। এদিন কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে এই কর্মসূচি ছিল। এদিন যাত্রার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টিঅফিসগুলিতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুন্ডিবাড়ি পার্টি অফিসের ভিতরে আসবাবপত্র, টেলিভিশন, আলমারি, পার্টি অফিসের বাইরে থাকা বাইক প্রভৃতি ভাঙুচর করা হয়। সূত্রের খবর, এদিন সংসদ সদস্য নিশীথ প্রামাণিককে কালো পতাকা দেখানোর জন্য শ্যুটিং ক্যাম্প এলাকায় কিছু তৃণমূল কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে মজিরুদ্দিন সরকার ছিলেন। সেখানেই অর্তকিতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হানা দেয় বলে অভিযোগ।