কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শুক্রবার বাড়িতে তলব করেছেন। না জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা নিয়ে মোশারফের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিধায়ক জানিয়েছেন। তবে মোশারফ সাহেবের দাবি, বিধায়ককে জানাতেই হবে, দলের এরকম কোনও নিয়ম নেই। দলীয় নিয়ম মেনেই কনভেনর হিসেবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিনি।
রাজগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, আমি শুধু রাজগঞ্জের বিধায়ক নই, এই বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় চেয়্যারমানও বটে। আমাকে না জানিয়ে মোশারফ সাহেব দলীয় কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন না। এদিন রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকার শিকারপুরে দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। তিনি আলাদা করে চাউলহাটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করায় জনমানসে দল সর্ম্পকে বিরূপ বার্তা গিয়েছে। আগামীকাল এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ওঁকে আমার বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছি। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কড়া পদক্ষেপ নেব।
রাজগঞ্জ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনর মোশারফ হোসেন বলেন, কলকাতায় তৃণমূল ভবন থেকে দিদিকে বলো কর্মসূচি পালনের নির্দেশ আমাকে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি সবাইকে জানাতে বলা হয়। ব্লকের সমস্ত নেতৃত্ব সহ জেলা সভাপতিকে আজকের সাংবাদিক সম্মেলন সর্ম্পকে জানিয়েছি। বিধায়ককে জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার বিষয়ে দলীয় গাইডলাইনে কোনও নিয়ম নেই। মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্যই এই কর্মসূচি। তাতেও যদি কেউ গোষ্ঠীকোন্দল বাঁধাতে চায়, তাহলে দল এগোতে পারবে না।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের মতে দ্বিতীয় দফায় দিদিকে বলো কর্মসূচির শুরুতেই গোষ্ঠীকোন্দলে জড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজগঞ্জ ব্লকে এই ইস্যুতে আলাদা করে দুটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সকালে ব্লকের কনভেনর মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে চাউলহাটিতে সাংবাদিক সম্মেলন হয়। রাজগঞ্জের একাধিক জায়গার দলীয় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তবে সেই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বিধায়ক ও বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক কনভেনর। এদিন বিকেলে শিকারপুরে সেই অন্য কনভেনর লক্ষ্যমোহন রায়ের নেতৃত্বে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে বিধায়ক খগেশ্বর রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।