বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
শহরের গান্ধী কলোনির বাসিন্দা গোপাল ঘোষ বলেন, বৃষ্টির জল এখনও অনেক ডোবায় জমে আছে। সেগুলি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়ে আছে। সন্ধ্যা হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঘরে ঢুকে পড়ছে। দরজা-জানালা খুলে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। পুরসভা নিয়মিতভাবে মশানিধন কর্মসূচি না চালানোয় সমস্যা আরও বেড়েছে। মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় আছি। শহর কংগ্রেসের নেতা নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, পুর কতৃপক্ষ মশা নিধনের জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করছে, অথচ মশার উৎপাত কমছে না। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। মশা মারার কাজে ধারাবাহিকতা থাকা দরকার। সেটির বড় অভাব।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের নোডাল অফিসার সাধন দাস বলেন, মশাবাহিত রোগের কোনও প্রকোপ নেই। যা হচ্ছে সবই সাধারণ জ্বর। আমরা মশা নিধনে শহরে নিয়মিত স্প্রে এবং ধোঁয়া ছড়াচ্ছি। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষও বলেন, শহরে নিয়মিতভাবে ফগিং মেশিন ও মশার লার্ভা মারার তেল দেওয়া হচ্ছে। শহরে মশা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেছি। বৃষ্টির কারণে কিছুটা হলে সমস্যা হয়েছে। আমরা একাজে আজও নজরদারি বাড়াচ্ছি।
এদিকে শহরজুড়ে মশার উপদ্রব বেড়েছে। শহরের গান্ধী কলোনি, সামুন্ডাই কলোনি, মির্জাপুরের নিচু অংশ, নবাবগঞ্জ, সদরঘাট, লক্ষ্মী কলোনি, রসিলাদহ, দেবীপুর, সারদা কলোনি, মঙ্গলবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মশা উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা বলেন, নিচু ঢোবা এলাকায় বৃষ্টির জল জমে থাকার পাশাপাশি শহরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণেও মশার উপদ্রব বেড়েছে। একাধিক নিকাশি নালা আবর্জনায় ভরে আছে। সেখান দিয়ে জল বেরতে পারছে না। নর্দমার বদ্ধ জলে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় গোরু মোষের খাটাল রয়েছে। ঘাটালগুলি নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। খাটাল থেকে জল নিকাশি ব্যবস্থা সেরকম নেই। অনেক ঘাটালের পাশে বর্ষার জল জমে আছে। এতে মশাবাহিত রোগভাগ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বেড়েছে।