কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সমস্যার অন্ত নেই। সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট নয় বলেও অভিযোগ। মেডিক্যালে প্রতিদিন গড়ে ১৮০-২০০ জন রোগীর ইউএসজি হয়। ফলে ইউএসজি মেশিন বিকলের বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। একই সঙ্গে দুটি মেশিন বিকল হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, একটি মেশিন বিকল হলেও অন্যটির সাহায্যে কাজ চালানো যেত। কিন্তু দুটি মেশিন একসঙ্গে অকেজো হওয়ায় বিভাগ লাটে উঠে গিয়েছে।
আউটডোর ভবনের ২০৪ নম্বর রুমে ইউএসজি হয়। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ গিয়ে ওই ঘর বন্ধ দেখা যায়। ঘরের দরজায় হাতে লেখা বেশ কয়েকটি নোটিস সাঁটা ছিল। তাতে সপ্তাহের মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবারের পরিবর্তে সোম বুধ ও শুক্রবারে ইউএসজি হবে বলে জানানো হয়। ‘অনিবার্য কারণবশত’ বাকি তিনদিনের রোগীদের বিভাগ খোলা থাকবে এমন দিনে আসার জন্য বলা হয়েছে সেখানে।
ইংলিশবাজারের বাসিন্দা হবিবুর রহমান বলেন, ইউএসজির জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতে হয়। এর দিনক্ষণ পেতে কালঘাম ছুটে যায়। এদিন আমার ইউএসজি করানোর কথা ছিল। মেডিক্যালে গিয়ে শুনি মেশিন খারাপ। ফলে বাধ্য হয়ে বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে ইউএসজি করাতে হয়। সাকিলা বিবি নামে মানিকচকের বাসিন্দা এক রোগীর আত্মীয় বলেন, এদিন আমার ভাইঝি’র ইউএসজি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেডিক্যালে এসে মেশিন খরাপের কথা জানতে পারি। বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। ফের কবে ইউএসজি হবে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। সময়, অর্থ দুই গেল। উপরন্তু রোগীর চিকিৎসা নিয়ে চিন্তা বাড়ল।
ইউএসজি বিভাগের এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, এই বিভাগে যা রোগীর চাপ তাতে অন্তত আট জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। তাহলে সকলের ইউএসজি সুষ্ঠভাবে করা সম্ভব হবে। অথচ ইউএসজি করার জন্য রয়েছেন মাত্র দু’জন। ফলে আমরাও চরম সমস্যায় পড়ছি। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কাজে গোলমাল হচ্ছে। রিপোর্ট ভুল হলে রোগীর চিকিৎসাও ঠিকমতো হবে না। বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত।