বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন সকাল হতেই এলাকার বাসিন্দারা বিশেষ করে মহিলারা দল বেধে ওই রাজ্য সড়কের উপর জড়ো হন। প্ল্যাকার্ড হাতে শতাধিক মহিলা সেখানে জড়ো হন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা রাস্তা অবরোধ শুরু করে দেন। টানা ৫ ঘণ্টা পথ অবরোধে তীব্র যানজট বাধে। বাস, ম্যাক্সি, ট্রেকার সবই আটকে পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। জেলা পুলিসের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে অবরোধ তুলে দেন। তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল।
হবিবপুর থানার আইসি ত্রিদিব প্রামাণিক বলেন, শিক্ষিকা খুনে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করেছিল। ঘটনাটি তদন্তের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবিও খতিয়ে দেখা হবে। অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার (ট্রাফিক এবং আইন-শৃঙ্খলা) শুভতোষ সরকার বলেন, ওই শিক্ষিকা খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা আরও একটি পরিবারের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে বিষয়টি আমরা দেখছি।
আন্দোলনকারী মহিলা ফুলমণি মণ্ডল বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ওই শিক্ষিকা আর বাড়ি ফেরেনি। পরে তাঁর মৃতদেহ পুকুরের মধ্যে পাওয়া যায়। সকলেই সেদিন দেখেছে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পুলিস মূল অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করেনি। তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এদিন এই দাবিতেই আন্দোলন হয়েছে। মৃতার স্বামী বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে সবকিছুই পুলিসকে জানানো হয়েছে। আমরা চাইছি দোষীদের শাস্তি হোক।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রামের ওই মহিলা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। গ্রামেরই এক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তিনি সাইকেল নিয়ে পড়াতে গিয়েছিলেন। সেদিন খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলপুরা স্ট্যান্ডের কাছে তাঁর সাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। পরদিন সকালে গ্রামের এই এক পুকুরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীদের অনুমান, অপহরণের পর ধর্ষণ করে তাঁকে খুন করে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার সময় ওই মহিলার স্বামী ভিন রাজ্যে কাজে ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে তিনি হবিবপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস তদন্তে নেমে মহিলা খুনের পিছনে একাধিক ঘটনার ইঙ্গিত পায়। একটি সূত্র ধরে এগিয়ে পুলিস গ্রামেরই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাদের জেল হেফাজত হয়েছে। তবে মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীদের অনেকেই বক্তব্য ঘটনায় আরও দুষ্কৃতী যুক্ত রয়েছে। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এনিয়ে এর আগেও পথ অবরোধ হয়। কিন্তু পুলিসের কোনও তৎপরতা না দেখে এদিন আবার গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেন।