কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সামাজিক প্রকল্পগুলির বকেয়া বিলির কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলায় বিভিন্ন দপ্তরকে নিয়ে এদিন আমি রিভিউ মিটিং করেছি। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে আমাদের জেলা রাজ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি এখানে সন্তোষজনক অবস্থায় আছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার শিলিগুড়িতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ১টায় জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলার আধিকারিকদের নিয়ে তাঁর মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক মিটিং করার কথা রয়েছে। সেই মিটিংয়ে তিন জেলার কাজের উন্নয়নের অগ্রগতি মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ে দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে জেলা স্তরের কাজের ফাইলপত্র গোছানার কাজ শুরু হয়েছে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের বর্তমান সময় পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। সেই সমস্ত দ্রুত জেলাশাসককে জমা দিতেই এদিন আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কৃষি, প্রাণিসম্পদ, ভূমি, স্বাস্থ্য, আইসিডিএস, কন্যাশ্রী, পেনশন প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এদিন বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর পরেই একাধিক প্রকল্পের টাকা জেলায় আসতে পারে। ওই টাকা সংশ্লিষ্ট খাতে বিতরণ করা হবে। তবে পুজোর আগে আসা সমস্ত প্রকল্পের টাকা এই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ এদিন দেওয়া হয়। কন্যাশ্রী প্রকল্পের চেক ফেলে রাখা যাবে না বলে জেলাশাসক এসডিও, বিডিও’দের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে পুজোর আগে আসা টাকাগুলিও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে বলা হয়েছে। দ্রুত ওসব সম্পন্ন করে বিডিও’দের তাঁর কাছে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন জেলাশাসক। খাদ্যসাথী প্রকল্পের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল রেশনকার্ড বিলির সংখ্যা কত হয়েছে তা এদিনের মিটিংয়ের জেলাশাসক আধিকারিকদের কাছে জেনে নেন। এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের চেক দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় কৃষিদপ্তরকে। আইসিডিএস, প্রাথমিক স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির ভবন নির্মাণের কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় তার তদারকি করতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। ১০০ দিনের কাজে রাজ্যে এই জেলা চতুর্থ স্থানে থাকায় জেলা প্রশাসন স্বস্তিতে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা প্রশাসনিক মিটিংয়ে যাতে জেলাশাসক ক্রটিহীন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে যেতে পারেন তার জন্য গোটা জেলাই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে।