গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বিশ্বাস বিরোধীদের সমালোচনাকে আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, পুজোর আগে টানা বৃষ্টির জেরে রাস্তার সংস্কার কাজ থমকে গিয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কালীপুজোর আগেই শহরের সমস্ত রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়া, বিননগর, বিধাননগর, হাসপাতালপাড়া, কলেজপাড়া, পুরসভা যাওয়ার রাস্তা সহ বেশকিছু অলিগলিতে থাকা ভাঙা রাস্তায় এখনও পিচ পড়েনি। পুজোর আগে কয়েকটি রাস্তায় পিচ দেওয়া হলেও সেগুলির পিচ উঠে গিয়ে ফের বেহাল হয়ে পড়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে ভাঙা রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরকুচি ও বালি থেকে ধুলো উড়ে গিয়ে রাস্তার দু’ধারের বাড়ি নোংরা করেছে। জানালা দরজা খোলা অনেকের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। পুজোর আগে বৃষ্টি হওয়ার পর ধুলোর দাপট কিছুটা কমলেও এবরো খেবরো হয়ে থাকা রাস্তার পাথরে অনেকেই হোঁচট খেয়ে জখম হচ্ছেন। গাড়ির চাকা লিক হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় রাস্তার পাথর ছিটকে দোকানে বাড়িতেও ঢুকে পড়ছে। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ভালো রাস্তা ভেঙে যখন মজবুত রাস্তা করা হবে, তখন পাথর বালি ফেলার পর কেন দ্রুত কাজ করা হল না? কয়েক মাস বৃষ্টি হয়নি, ওই সময় রাস্তার কাজ করা হলে ভোগান্তিও হতো না, নির্মাণ কাজটাও ভালো হতো।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ৭৪টি রাস্তা সংস্কারের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বেশকিছু রাস্তার কাজ করা হলেও পুজোর সপ্তাহখানেক আগে টানা বৃষ্টির জেরে কাজ পুরোপুরি থমকে যায়। পুজোয় মানুষের ভোগান্তি এড়াতে বিননগর এলাকার একটি রাস্তা সংস্কার করতে গেলে পিচ উঠে যায়। তাই ওই কাজ বন্ধ রয়েছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, রাস্তায় ফেলা পাথর বালি না শুকালে পিচের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই কিছু সময় অপেক্ষা করা হচ্ছে। রাস্তা শুকিয়ে গেলে দ্রুত পিচের কাজ শুরু করা যাবে। উকিলপাড়ায় একটি রাস্তার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, কোটি কোটি টাকা রাস্তার নামে খরচ হচ্ছে। বাস্তবে শহরের রাস্তার হাল খারাপ হয়েছে। কী কাজ হচ্ছে সেটা শহরবাসী দেখছেন। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, রায়গঞ্জ শহরে ভালো রাস্তা ভেঙে খারাপ করে দিয়ে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা হয়েছে। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য, বিরোধীরা উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কালীপুজোর আগে শহরের সব রাস্তার সংস্কার করা হবে।