দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
চালসার তৃণমূল নেতা দীপক ভুজেল বলেন, চালসা থেকে নকশালবস্তি পর্যন্ত ট্রেন চালানোর ব্যাপারে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উদ্যোগী হন। প্রকল্পের সূচনার দীর্ঘদিন পরে কাজ শুরু হলেও সেটি এখন বন্ধ হয়ে আছে। পরিষেবা চালু হলে ডুয়ার্সবাসী উপকৃত হতেন। আমরা চাই সমস্ত বাধা কাটিয়ে কাজ দ্রুত শেষ করে রেল পরিষেবা চালু হোক।
লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, রেল লাইনের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। কারণ ওই রুটে রেল পরিষেবা চালু হলে পর্যটন ব্যবসা অনেকটাই বেড়ে যেত। দার্জিলিংয়ের মতো এখানেও ট্রেনে সফর করার স্বাদ পেতেন পর্যটকেরা। আমরা কাজ বন্ধ হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম কানবীর সোনি জৈন বলেন, জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকার ফলে কাজটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে রেল দ্রুত ওই কাজট শেষ করতে চায়।
ওই রেল লাইন পাতার কাজের বরাত নেওয়া এজেন্সির পক্ষে প্রবীর দাস বলেন, কুমাই, কিলকোট এবং ইংডং এই তিনটি চা বাগানের মধ্য দিয়ে রেল লাইন যাবে। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করে চা বাগান কর্তৃপক্ষ অন্য রুট দিয়ে লাইনটি নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে অন্য পথে লাইনটি নিয়ে যাওয়া হলে খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের বলা হয়েছে কাজটি বন্ধ রাখতে। আমরা কাজ বন্ধ করে রেখেছি। কবে চালু হবে আমরা জানি না।
ডুয়ার্সের চালসা স্টেশন থেকে গোরুবাথান ব্লকের জলঢাকা থানার নকশালবস্তি পর্যন্ত ২০ কিমি নতুন রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছিল। এই রেল লাইনটি কিলকোট, ইংডং এবং কুমাই চা বাগান থেকে মৌরেবস্তি হয়ে পাহাড়ি এলাকা ধরে নকশালবস্তিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এই নকশালবস্তি থেকে পর্যটন এলাকা শুরু হয়। তারপর ঝালং, বিন্দু, প্যারেন, তোদে, তানদা পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই এই লাইনপাতা হলে পর্যটন ব্যবসার আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোও বদলে যেত।