দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
করিম চৌধুরী বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই আমি ইসলামপুর ব্লক ও টাউন কমিটির সভাপতি ঘোষণা করেছি। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতার বৈঠকের জন্য কানাইয়াবাবু আমার ঘোষিত ব্লক সভাপতি মেহেতাব চৌধুরীর নাম পাঠাননি, তাই সে সভায় ঢুকতে পারেনি। এই ঘটনা আমার পক্ষে অপমানজনক। এবিষয়ে আমি দলনেত্রীকে জানাব। সেইসঙ্গে আমার তৈরি ব্লক ও টাউন কমিটি ও বিধানসভা এলাকার মানুষকে নিয়ে বৈঠক করে অবস্থান পরিষ্কার করব। এখানে কেউ মাথা ঘামাবে না। কানাইয়াবাবু জেলা সভাপতি হয়েছেন। যে ব্লকে দলের বিধায়ক নেই সেখানে গিয়ে তিনি ব্লক কমিটি করতে পারেন। কিন্তু ইসলামপুরে আমি বিধায়ক আছি। তাই এখানে তাঁর প্রয়াজন নেই। মেহেতার চৌধুরীই ব্লক সভাপতি।
কানাইয়াবাবু বলেন, রাজ্য কমিটির ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমার কাছে ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ইসলামপুর ব্লকের জন্য জাকির হুসেনকে আগেই ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। তাই আমি তাঁর নাম ব্লক সভাপতি হিসাবে পাঠিয়েছিলাম। তিনি মিটিংয়ে উপস্থিতও ছিলেন। একই ব্লকে দুই জন সভাপতি হয় না। জাকির হুসেন বলেন, ইসলামপুর ব্লক সভাপতি হিসেবে আমি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জনসংযোগ বৃদ্ধির জন্য দলনেত্রী দিদিকে বলো কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার রাজ্য নেতৃত্ব, বিভিন্ন জেলার ব্লক সভাপতি ও কো-আর্ডিনেটরদের ডাকা হয়েছিল। দিদিকে বলো কর্মসূচি আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে করার জন্য ব্লক সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য নেতারা এই কর্মসূচি করছে কি না সেবিষয়েও রাজ্য নেতৃত্ব খোঁজ খবর নিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে করিম চৌধুরীর ছেলে তথা করিম সাহেবের ঘোষিত ব্লক সভাপতি মেহেতাব চৌধুরী ওরফে গোরেকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারণ তালিকায় তাঁর নাম ছিল না।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ইসলামপুরে করিম ও কানাইয়ার দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। বিধানসভা উপনির্বাচনের সময় দু’জন কাছে এসেছিলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের কিছুদিনের পরেই ব্লক ও টাউন কমিটির সভাপতি ঘোষণা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। করিম ও কানাইয়া আলাদা আলাদা দুই জনকে ব্লক সভাপতি করেন। সেই দ্বন্দ্ব এখনও চলছে। দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে আছে তৃণমূল। এমতাবস্থায় সকলকে একসঙ্গে নিয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচির উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।