বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন দুপুরে ইংলিশবাজারের নবীন সিনেমা হলের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি মোটরবাইকের শোরুমের কাছে দুই যুবককে মোটরবাইক চোর সন্দেহে গণধোলাই দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। দু’জনেই ইংলিশবাজারের তেলিপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে উত্তম মধ্যম দিতে থাকে জনতা। খবর পেয়ে পুলিস এসে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতেই ইংলিশবাজারের বাঁশুলিতলা সংলগ্ন এলাকায় একটি ওষুধের দোকান থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যদুপুরের বাসিন্দা এক যুবককে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এর আগে রবিবার রাতে উইমেন্স কলেজ রোডের কাছে সুজাপুরের ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা দুই যুবককে দুষ্কৃতী সন্দেহে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। এর আগেও পুরাতন মালদহ, হবিবপুর, বামনগোলা, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় গণপিটুনি ঘটেছে। কিন্তু এবার জেলা সদরেই এই ঘটনা পরপর ঘটতে থাকায় নড়েচড়ে বসেছেন জেলার পুলিস কর্তারা।
ইংলিশবাজার থানার আইসি শান্তনু মিত্র বলেন, বুধবারের গণপিটুনির ঘটনায় দু’জনকে আমরা আটক করেছি। আরও যারা ওই অপরাধে যুক্ত ছিল তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গণপিটুনি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতরা অনেকেই ভাবে ভিড়ে মিশে থাকার ফলে তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে না। কিন্তু রেহাই পাওয়া সহজ নয়। গণধোলাইয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিসের নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতি এবার প্রয়োগ করা হবে। গণিপিটুনি থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই ইংলিশবাজার সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রচার চালাবে পুলিস। একই সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর উপরেও জোর দিয়েছেন পুলিস সুপার। বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হবে।
তবে সাধারণ নাগরিকদের অনেকেরই বক্তব্য, গণপিটুনি নিশ্চয়ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে তাও বিবেচনা করা উচিৎ পুলিসের। যেভাবে বিভিন্ন সময় শহর থেকে মোটরবাইক সহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি, ছিনতাইয়ের বহর বেড়েছে তাতে কখনও কখনও মেজাজ হারিয়ে ফেলছে জনতা। তাতেই গণপিটুনির সংখ্যা বাড়ছে। পুলিস সুপার অবশ্য বলেন, কখনও অপরাধীদের হাতেনাতে ধরে ফেললে পুলিসকে খবর দিন। নিজেরা মারধর করে শাস্তি দেবেন না।